শিরোনাম
শনিবার, ২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
সাফল্য

কাগজের শপিং ব্যাগে নারীদের সচ্ছলতা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কাগজের শপিং ব্যাগে নারীদের সচ্ছলতা

সংসারে স্বামীর পাশাপাশি শপিং ব্যাগ তৈরি করে স্বচ্ছলতা এনেছে নারীরা। ঈদকে সামনে রেখে দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এর চাহিদা ব্যাপক থাকায় এসব গৃহবধূর ফুরসতের সময় নেই এখন। দিনাজপুর শহরের রামনগর এলাকায় দরিদ্র পরিবারের নারীরা স্বউদ্যোগে শপিং ব্যাগ তৈরির কাজ করছে। যেন এটা শপিং ব্যাগ তৈরির পল্লী। সংসারের সব কাজ কর্ম সেরে অবসর সময়ে বাড়ির সবাই মিলে কাগজের শপিং ব্যাগ তৈরি করেন। উদ্দেশ্য একটাই, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে স্বামীর আয়ের সঙ্গে এ টাকা যোগ হয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা। নারী শ্রমিকরা জানান, সংসারের সব কাজ সেরে প্রায় ৩০০ দরিদ্র পরিবারের নারী কাগজের শপিং ব্যাগ তৈরির কাজ করে বাড়তি আয়ের মুখ দেখার পাশাপাশি নিজেরা স্বাবলম্বী হতে চান। এ কাজে ছেলেমেয়েদেরও কাজে লাগানো যায়। শপিং ব্যাগ তৈরির কারিগর অটোচালক মো. জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. জুলেখা বেগম বলেন, কাগজ কাটা, কাগজ ভাঁজ করা, হাতলে সুতা লাগানো, কাগজে আঠা লাগানোর পর তা রোদে শুকিয়ে একটি শপিং ব্যাগ সম্পন্ন করার পর তা মহাজনকে সরবরাহ করা হয়। ব্যাগটি দৃষ্টি নন্দন ও আর্কষণীয় না হলে তা ফেরত দেওয়া হয় ও মজুরি থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। শ্রমিক মোছা. নাসিমা বেগম বলেন, ১০০ ব্যাগ তৈরি করার পর মজুরি হিসাবে পাওয়া যায় ১৩ থেকে ১৫ টাকা। তবে পরিশ্রম অনুযায়ী এ মজুরি সামান্য। ঋণ পেলে কাগজের শপিং ব্যাগ তৈরি করে কাপড়ের দোকানে সরবরাহ করতে পারি। দালালের মাধ্যমে কাজ করি তাই লাভের বেশি অংশ মধ্যভোগী দালালদের পেটে চলে যায়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এবং আরও উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে দিনাজপুরের অনেক নারীই কাগজের শপিং ব্যাগ তৈরির কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে। এটি একটি লাভজনক শ্রম।

সর্বশেষ খবর