রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভারত কড়া নজর রাখছে : ৪ রাজ্যে হাই অ্যালার্ট

কলকাতা প্রতিনিধি

ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ঢাকার পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। সরকারি সূত্র জানায়, গুলশানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান নিয়ে এখনো অসমর্থিত খবর আসছে।

খবরগুলোর সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্ত-লাগোয়া চারটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। ইতিমধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফসহ অন্য নিরাপত্তা এজেন্সিগুলোকে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের সঙ্গে যৌথভাবে নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে আছে রাজ্য পুলিশও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, ঢাকায় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা এজেন্সিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ঢাকায় হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যগুলোর গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, সরকারি ভবন, দর্শনীয় স্থানগুলোয় অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশকে। কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটিং। কলকাতা পুলিশের টহলদারি ভ্যান বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর এবং বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের হাইকমিশন ও দূতাবাসগুলোতে। বিমানবন্দরে পাঁচ স্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আগত এবং বাংলাদেশগামী বিমানযাত্রীদের ওপরও অতিরিক্ত নজর রাখা শুরু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর পেট্রাপোল-বেনাপোলেও দুই দেশের যাত্রীদের আসা-যাওয়ার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের জঙ্গি হামলার খবর প্রকাশের ব্যাপারে দেশের গণমাধ্যমগুলোকেও সংযত হওয়ার আর্জি জানিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরনের সংবেদনশীল ঘটনা প্রকাশে জঙ্গি দমনে সহায়তা করবে না।

সোনিয়া গান্ধীর তীব্র নিন্দা : গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গতকাল তিনি বলেন ‘এ ধরনের হামলার অর্থই হলো সব ধরনের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ অস্বীকার করা।’ ওই হামলায় নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ও চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সোনিয়া। পাশাপাশি এই দুঃসময়ে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দল বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে বলেও বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।

সর্বশেষ খবর