রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিশ্ব মিডিয়ায় গুলশান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কূটনৈতিক এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় জিম্মি পরিস্থিতির ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। শুক্রবার রাতভর দেশি গণমাধ্যমের পাশাপাশি বিবিসি, সিএনএন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আলজাজিরা, এনডিটিভিসহ অনেক আন্তর্জাতিক মিডিয়ার শিরোনামে চলে আসে। গতকালও দিনভর গুলশানে জিম্মি ঘটনা তুলে ধরে বিবিসিসহ গণমাধ্যমগুলো। ‘বাংলাদেশ সিজ : টুয়েন্টি কিল্ড অ্যাট হলি আর্টিসান বেকারি ইন ঢাকা’ শিরোনামে বিবিসি খবর প্রকাশ করে। ২০ জন বিদেশিকে হত্যা করা হয় বলে বিবিসি বাংলা খবর প্রকাশ করে।

সিএনএনে লিড শিরোনাম প্রকাশ করে ‘ঢাকা ক্যাফে সিজ : অল টুয়েন্টি হোস্টেজ কিল্ড আর ফরেইনার্স, সেইস আর্মি’। আলজাজিরা লিড শিরোনাম করে ‘টুয়েন্টি হোস্টেজ কিল্ড ইন বাংলাদেশ ক্যাফে অ্যাটাক্ট : আর্মি সেইজ’। এ ছাড়া গার্ডিয়ান, মিরর, ডেইলি মেইল, এবিসি নিউজ, বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশির ভাগ শীর্ষ গণমাধ্যমে খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। তবে সবচেয়ে বেশি খবর প্রকাশ করে সিএসএন। বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশনগুলো সরাসরি সম্প্রচার না করতে পারলেও সিএনএন রাতভর সম্প্রচার করে। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম সিএনএন থেকেও সংবাদ প্রচার করে।

এনডিটিভির খবরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিবিসির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সম্পাদক জিল ম্যাকগিভারিং বলেন, বাংলাদেশে হাই প্রোফাইল বন্দুক হামলা বিরল হলেও, সাম্প্রতিক এই গোলাগুলির ঘটনা কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের পর সংঘটিত হলো। ওই সিরিজ হত্যাকাণ্ডগুলোর জন্য কট্টরপন্থিদের দায়ী করা হয়। সিএনএনের খবরে বলা হয়, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস টুইটারে নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। হামলার শিকার ক্যাফের এক কর্মীকে উদ্ধৃত করে স্কাইনিউজের খবরে বলা হয়, হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র আর বোমা নিয়ে হামলা চালায়। ফক্স নিউজের খবরে নয় হামলাকারীর আল্লাহু আকবর বলে হামলার কথা বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর