সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

উদ্ধার জিম্মিদের কেউ কেউ এখনো ডিবি হেফাজতে

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মিদের মধ্যে উদ্ধার হওয়া কয়েকজন এখনো গোয়েন্দা কার্যালয়ে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাদের একজন  তাহমীদ  (২২)। শাহরিয়ার খান নামে এক ব্যবসায়ীর ছেলে তিনি। ছেলেকে এখনো না পেয়ে উদ্বেগে আছেন উল্লেখ করে শাহরিয়ার খান জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন  তাহমীদ  গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাকে মিন্টোরোডের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে কেন দেওয়া হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। আপনারা একটু দেখেন। এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ওই রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ জনসহ অন্তত ২৭ জনকে তাদের হেফাজতে নিয়েছিলেন। প্রত্যেকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরপরেই তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এরপরেই তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে  গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজনের বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে তথ্য যাচাই-বাছাই করছেন তারা। জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হলি আর্টিজানে জিম্মি দশা চলাকালে স্বজনের খোঁজে গুলশানের ওই রেস্তোরাঁর আশপাশে অবস্থান করেন অনেকে। তাহমীদ শুক্রবার কানাডা থেকে দেশে ফিরে ইফতার করে বন্ধুদের সঙ্গে গুলশানের ওই ক্যাফেতে যান বলে শুক্রবার রাতে তার বাবা জানিয়েছিলেন। ছেলের খোঁজে রাতে গুলশানের ওই এলাকায় অবস্থান করেন শাহরিয়ার খান। জিম্মি সংকটের প্রায় ১১ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাহমীদের ফোন পান বলে জানান শাহরিয়ার খান। সে ফোনে জানায়, বাবা আমরা ভালো আছি। এর পর কল কেটে যায়। গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। সেখান থেকে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার এবং ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। কমান্ডোদের গুলিতে সেখানে ছয় হামলাকারী নিহত হন এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

সর্বশেষ খবর