শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

জানা গেল না নির্দেশদাতার নাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জানা গেল না নির্দেশদাতার নাম

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতার নাম এখনো পুলিশের ‘অজানা’। ঘটনার ৪০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশের খাতায় ‘অজ্ঞাত’ রয়েছে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতার নাম। তাদের দাবি, কিলিং মিশনের জন্য খুনি ভাড়া করা কামরুল ইসলাম ওরফে আবু মুছা সিকদারকে গ্রেফতার করা গেলে জানা যাবে এ খুনের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারীর নাম। তাই মুছাকে গ্রেফতারের জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন ও ক্রাইম) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘কাদের নির্দেশে মিতুকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নই। মুছাকে গ্রেফতার করা গেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তাই মুছাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ জানা যায়, মিতুর কিলিং মিশনে অংশ নেয় সাতজন। তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন, ওয়াসিম ওরফে মোতালেব ও শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৫ জুলাই রাশেদ ও আবদুন নবী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মিতু খুনের জন্য খুনি ভাড়া করা মুছা ও কালু এখনো পলাতক রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে মুছার স্ত্রী পান্না আকতারের দাবি, ২২ জুন মুছাকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। এরপর থেকে তার কোনো হদিস পাচ্ছে না পরিবার। যদিও সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার দাবি করে আসছেন, মুছা পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করা গেলে বের হয়ে আসবে এ খুনের আসল রহস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘গ্রেফতার আসামিরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে খুনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের সত্যতাও পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু মিতু খুনের কারণ ও নির্দেশদাতার নাম প্রকাশিত হলে ‘থলের বিড়াল’ বের হয়ে  আসবে। তাই কৌশল হিসেবে নির্দেশদাতার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।’’

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন মনির: মিতু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মনির হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুনুর রশিদের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুনুর রশিদের আদালতে মনিরকে হাজির করা হয়। এরপর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। এতে মনির উল্লেখ করেন, মিতু হত্যায় ব্যবহার করা অস্ত্রগুলো তাকে রাখতে দিয়েছিলেন ভোলা। তিনি অস্ত্রগুলো শুধু হেফাজতে রেখেছেন। এ ছাড়া এ খুনের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য দেন মনির। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মনসুর বলেন, মিতু হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী ভোলাকে বৃহস্পতিবার (গতকাল) থেকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে বাকলিয়া থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অস্ত্র মামলায়। প্রসঙ্গত, ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর