শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

রপ্তানির নতুন টার্গেট ৩৭ বিলিয়ন ডলার

চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৬ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলশানে জঙ্গি হামলা আর ব্রেক্সিটের (ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া) চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর ভরসা করে এবার ৩৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এটি সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে অর্জিত রপ্তানি আয়ের চেয়ে ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানি আয়ের নতুন এই লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা  ধরা হয়েছিল ৩৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। বছর শেষে এ খাতে আয় দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই একই কারণে এবারও রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘রপ্তানি আয়ের টার্গেট নিয়ে আমরা আশাবাদী, কারণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।’ গুলশানে জঙ্গি হামলায় বিদেশিদের জিম্মি করে হত্যার কারণে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা আস্থার সংকট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার আগে ইইউর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যে জিএসপি সুবিধায় পোশাক রপ্তানির সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার সে সুবিধা পেতে হলে নতুন করে আলোচনা করতে হবে দেশটির সঙ্গে। এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান রপ্তানি বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে না। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। ইইউতে যে সুবিধা পেতাম সেই সুবিধা আমরা ভবিষ্যতেও পাব। আর ব্রেক্সিট ইস্যুতে আমাদের রপ্তানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেই মনে করছি।’ গুলশান হামলার দিকে ইঙ্গিত করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক। দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ ভাগ দখল করে আছে এ খাত। এর আগেও তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর অনেক বাধা এসেছে। বাংলাদেশ সম্মিলিতভাবে সেসব বাধা সফলতা ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পোশাকশিল্পের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধশিল্প, কৃষিজাত পণ্য ও হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যে আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’ এ খাতগুলোর সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা, এফবিসিসিআইর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এ বাকির খান প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর