শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা

১১ আসামির খালাস স্থগিতই থাকল

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ১১ আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ ১৭ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। ১৭ জুলাই বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আপিল বিভাগে উঠবে।

যাদের খালাস স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন— আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক), লোকমান  হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর ও মনির। এদের মধ্যে আমির হোসেন, বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল, লোকমান, রনি, খোকন ও দুলাল নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন। আর রাকিব, আইয়ুব, জাহাঙ্গীর ও মনিরকে বিচারিক আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ১৫ জুন হাইকোর্ট এই ১১ জনকে খালাস দেয়। সেই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত ২১ জুন হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। ২০০৪ সালে জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আহসানউল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ মামলায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির আদেশ পাওয়া ২২ জনের মধ্যে হাইকোর্টে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, সাতজনকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়। অন্য দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির মধ্যে একজনের দণ্ড বহাল, চারজন খালাস পেয়েছেন। অন্য একজন আপিল না করায় তার দণ্ডও বহাল রয়েছে। আর বিচারিক আদালত থেকেই খালাস পান দুই আসামি কবির হোসেন ও আবু হায়দার ওরফে মিরপুর্যা বাবু। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠের এক সমাবেশে আহসানউল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পরদিন ৮ মে নিহতের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচার শেষে ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায়ে ৩০ আসামির মধ্যে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া দুজনকে খালাস দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর