শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

১৮৬ জন নিহত আহত ৭৪৬

ঈদের আগে-পরে ১২ দিনে ১২১ দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবারের ঈদযাত্রায় দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ১২১টি দুর্ঘটনায় ১৮৬ জন নিহত ও ৭৪৬ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ এ তথ্য জানান। সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় যাত্রীকল্যাণ সমিতির মনিটরিং সেল এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে বলা হয়, প্রতি বছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যাওয়ায় তিন বছর ধরে বিষয়টি সমিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে। তারা জানান, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় ঈদযাত্রা কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়ক দুর্ঘটনা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের ছুটি শুরুর দিন ১ জুলাই থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১২ জুলাই পর্যন্ত ১২ দিনে মোট ১২১টি দুর্ঘটনায় ১৮৬ জন নিহত ও ৭৪৬ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে ৩টি নৌ দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় ১০ জন নিখোঁজের খবর গণমাধ্যমে এসছে। এ সময় রেলে কাটা পড়ে ২ জন, চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ১ জন নিহত হন। ঈদযাত্রায় ১২১টি সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়াও ৩টি নৌ দুর্ঘটনা, ৩টি রেল দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চট্টগ্রামে ১২টি, এতে নিহতের সংখ্যা ১৬ এবং আহত ৮ জন। এ ছাড়া ঢাকার ধামরাই সড়কে ৬টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২৩০ জন আহত হন। সিরাজগঞ্জের ৬টি সড়কে দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত, ১০ জন আহত হন। বরিশালে ১০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন। টাঙ্গাইলে ৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত ও ১২ জন আহত হন। কুমিল্লায় ৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ২১ জন আহত হন। ময়মনসিংহে ৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৮৫ জন আহত হন। মানিকগঞ্জে ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন এবং নাটোরে ৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হন। এদিকে নৌপথে ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন ভেঙে নদীতে পড়ে ২ শিশু নিহত হয়। চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নৌকাডুবিতে ৪ জন নিহত, ৯ জন নিখোঁজ হন।

 বরিশালে লঞ্চ-স্টিমার সংঘর্ষে ৫ জন নিহত, ৮ জন আহত হন। রেলপথে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের দুর্গাপুরে রেলে কাটা পড়ে ১ জন নিহত হন। ঢাকার বনানীতে ট্রেনের ধাক্কায় ১ জন নিহত ও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ১ জন নিহত হন। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৪৬ ভাগ মোটরসাইকেল, ৩২ ভাগ বাস, ১৮ ভাগ নসিমন-করিমন-ভটভটি ও ৪ ভাগ অন্যান্য যানবাহন এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর