সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভেঙে ফেলা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভেঙে ফেলা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়

বদলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়। দীর্ঘদিনের পুরনো অফিসটি ভেঙে গড়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ১০ তলাবিশিষ্ট ভবন। গতকাল থেকে পুরনো ভবনটি ভাঙা শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে নতুন এ ভবন নির্মাণ শেষ করার টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন পুরনো ভবন ভাঙার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ভাঙার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মোশাররফ হোসেন বলেন, ৬ দশমিক ৯ কাঠার এই জায়গায় ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। সেখানে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যালয়সহ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য আলাদা ফ্লোর এবং ২-৩টি সম্মেলনকক্ষ থাকবে। ভবনটি ভাঙতে সময় লাগবে দুই মাস। দেড় বছরের মধ্যে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। নির্মাণ কাজের সার্বিক বিষয় তিনি দেখভাল করবেন উল্লেখ করে বলেন, নতুন পুরো ভবনই ওয়াইফাইয়ের আওতায় থাকবে। ভবনে থাকবে কনফারেন্স হল, সেমিনার রুম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, ভিআইপি লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, সাংবাদিক লাউঞ্জ এবং ডরমেটরিও। তিনি বলেন, ছয় থেকে সাততলা পর্যন্ত থাকবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যালয়। নতুন ভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য পৃথক কক্ষ এবং সেই কক্ষের সঙ্গে বারান্দাও থাকবে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরনো ভবনের সব অফিস আশপাশের ‘সুবিধামতো স্থানে’ সরে গেছে। আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি বলেন, ভবনটির নির্মাণ ব্যয় ১০ থেকে ১১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এর ব্যয়ভার বহন করবেন আওয়ামী লীগ দলীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলের সাধারণ সদস্য। অর্থাৎ দলীয় চাঁদার ওপর ভিত্তি করে এই ভবন নির্মিত হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে নবনির্মিত ভবনে দলীয় কার্যক্রম শুরু হবে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো আপাতত নিজ নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন জায়গায় অফিস কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে দুই মাসের মধ্যে কোনো একটি বিল্ডিং ভাড়া করে সেখানে সবাই অফিস করবেন। সরেজমিন দেখা যায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনের তিনতলায় সাঁটানো দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের টেবিল-চেয়ার, বইপত্র ও সাংগঠনিক কাগজপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমোদন দেওয়া ‘থ্রিডি নকশা’ অনুসারে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবন নির্মাণের মূল দায়িত্বে আছেন গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

সর্বশেষ খবর