শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
সাইবার ক্রাইম

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশি যুবকের কারাদণ্ড

প্রতিদিন ডেস্ক

অনলাইনে তথ্য চুরি, সন্ত্রাসী হামলার ভুয়া খবর ও হুমকি ছড়ানোর দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

সোমবার ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল কোর্ট ব্রুকলিনের বাসিন্দা মীর ইসলামকে (২২) এই সাজার আদেশ দেয় বলে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি চ্যানিং ডি ফিলিপস জানান।

তিনি বলেন, অন্যের গোপন তথ্য চুরি, ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও প্রতারণা, বিভিন্ন ব্যক্তির সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরের অপব্যবহার, এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারকে ভুয়া তথ্য ও হুমকি ছড়ানোর অপরাধে বিচারক র‌্যান্ডল্ফ ডি মোস এই সাজা দিয়েছেন। দণ্ডভোগের পরও মীর ইসলামকে তিন বছর কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারিতে থাকতে হবে বলে জানান চ্যানিং। অবশ্য মীর ইসলামের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তার মক্কেল ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’। অ্যাটর্নি চ্যানিং বলেন, ‘টানা কম্পিউটার গেইম খেলার কারণে তিন বছর আগে মীর ইসলামের এ অবস্থা হয়েছে বলে তার আইনজীবী আদালতকে জানান। চিকিৎসা চালানোর জন্য মক্কেলের শাস্তি কমানোরও আবেদন করেন তিনি।’ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই আইন কর্মকর্তা জানান, ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়া মীর ইসলামের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৩ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে ২০১৩ সালের ২৭ এপ্রিল মেরিল্যান্ডের মন্টগোমারি কাউন্টির পুলিশকে ফোন করে মীর ইসলাম জানান, সিএনএনের এক উপস্থাপকের বাসায় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার সত্যতা পায়নি। একই বছরের ৪ এপ্রিল এ বাংলাদেশি পুলিশকে ফোন করে তার স্ত্রীকে এক ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করেছে বলে ভুয়া খবর দেন। ওই বছরের ২২ মার্চ তিনি ইউনিভার্সিটি অব আরিজোনা ক্যাম্পাসে বোমা ও গোলাগুলির মিথ্যা খবর দেন পুলিশকে।

চ্যানিং জানান, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে এফবিআই, সিআইএ ও মার্কিন প্রশাসনকে ফোন করে এরকম অন্তত ৫০টি মিথ্যা তথ্য দেন মীর ইসলাম।

এর মধ্যে মিশিগানের কংগ্রেসম্যানের বাসায় সন্ত্রাসী হামলা, ন্যাশনাল রাইফেলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ওয়াইন লা পিয়েরের বাসায় হামলা, আরিজোনা ইউনিভার্সিটিতে বন্দুক হামলার ভুয়া তথ্যও রয়েছে।

মীর ইসলামের কারণে কোনো কোনো স্থানে সোয়াট বাহিনীকেও অভিযানে পাঠানো হয় বলে জানান অ্যাটর্নি।

তিনি জানান, প্রবাসী এ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অনলাইন থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর চুরি করে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

‘আন্ডারগ্রাউন্ড নাজি নামের একটি গ্রুপের পরিচয় দিয়ে সে এসব সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর চুরি করে। ওই ঘটনায় মীর ইসলামের সহযোগী হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া, ভার্জিনিয়া ও ফিনল্যান্ড থেকে আরও চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

বিভিন্ন অপরাধে মার্কিন পুলিশ গত বছরের জুলাই মাসে মীর ইসলামকে গ্রেফতার করে। ওই বছরের ৬ জুলাই ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন বলে চ্যানিং জানান।

সর্বশেষ খবর