শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নিরাপত্তাবলয়ে পদ্মা সেতু এলাকা

৩৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন, অগ্রগতিতে সন্তোষ সেতুমন্ত্রীর

লাবলু মোল্লা, মুন্সীগঞ্জ

নিরাপত্তাবলয়ে পদ্মা সেতু এলাকা

কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজের অগ্রগতিসহ প্রকল্প এলাকায় কর্মরত দেশি-বিদেশি শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের নিরাপত্তা তদারকিতে আসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মাওয়া পুরনো ঘাটে এসেই পেয়ে যান সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেনকে। তাকে নিয়েই সি-বোটে মাঝপদ্মায় সেতু প্রকল্পের পাইলিং ও ড্রেজিং কাজের অগ্রগতিসহ সেখানে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রমত্তা পদ্মার মাওয়া থেকে জাজিরার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি এ প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ দেখে অভিভূত হন। প্রকল্প এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা-বলয় দেখে সন্তোষ প্রকাশ ওবায়দুল কাদের। পদ্মার নদীশাসন কাজ, ড্রেজিং ব্যবস্থা ও সেতুর মূল পাইলিং কাজের তদারকি শেষে মাওয়া ঘাটে আসেন মন্ত্রী। এরই মধ্যে খবর পেয়ে যান স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। ভিড় জমান পদ্মাপাড়ে মাওয়া ঘাটে। এ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশবাসীর অন্যতম প্রত্যাশিত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজ শিডিউলমাফিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি জানান, এখানে যেসব দেশি-বিদেশি শ্রমিক বন্ধুরা কর্মরত আছেন তাদের নিরাপত্তা দেখে তিনি অভিভূত। এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল রয়েছে। তাদের কর্মতত্পরতা দেখেও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিশাল এই সেতুর ২২টি মূল পাইল বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি নিয়মিতভাবে শিডিউল অনুযায়ী একঝাঁক দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পদ্মা সেতুর টেকনিক্যাল পরামর্শক বিশেষজ্ঞ প্যানেল অব এক্সপার্ট ও দক্ষ শ্রমিকদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আজ ২১ জুলাই পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল কাজের ৩৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রায় ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে। এ সেতুতে রেল সংযোগ স্থাপন করা হবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত স্থাপিত হবে রেল সংযোগ। রেল প্রকল্পের কাজও শিগগিরই দেখতে পাবেন দেশবাসী।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতু জাতির জনকের স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রীর মনোবাসনা। দেশবাসীর ভাগ্যোন্নয়নের সোনার চাবি। এ সেতু বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বহুদূর।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী সেতু ৪২টি পিলারের ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এটি। এ সেতুটি ২০১৮ সালে খুলে দেওয়ার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি এটি ২০১৮ সালেই খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর