শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম

পিছু হটছেন নিম্ন আয়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম

বাজার দর

রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। ফলে পিছু হটতে শুরু করেছে নিম্ন আয়ের মানুষ। খোঁজ নিয়ে ধারণা পাওয়া গেছে, সাধারণ ক্রেতার সংখ্যা এ অবস্থায় কেবলই কমছে।

জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, মাছ ও সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। পাশাপাশি চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১ থেকে ৩ টাকা। মাছ ও সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৩০ টাকা। গতকাল সকালে রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ক্রেতা কম হলেও নিত্যপণ্যের দাম ছিল বাড়তি। ফলমূল থেকে শাক-সবজি সবই ক্রেতারা চড়া দামে কিনতে বাধ্য হয়েছে। অবশ্য এ বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম ছিল আগের সপ্তাহের মতোই। গরুর মাংস ৪২০ এবং ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া দেশি মুরগি মাঝারি আকৃতির প্রতিটি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত ছিল। এ কাঁচাবাজারের গলির মুখেই মেসার্স খন্দকার জেনারেল স্টোর। প্রতিষ্ঠানের মালিক আলী হায়দার বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে কম আসছে। এ ছাড়া দেশে জঙ্গি হামলার আতঙ্কের প্রভাব নিত্যপণ্যের বাজারে পড়েছে। তাই জরুরি ছাড়া এখন সাধারণ মানুষ বেশি কেনাকাটা করছে না। বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চিনি কেজিতে ১ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল মানভেদে প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫০, মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৮, মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আলু প্রতি কেজি ২৪, রসুন ১০০ থেকে ১৬০, গুঁড়া মরিচ ৩৫০ থেকে ৪০০, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০, কাঁকরোল ৫০, বেগুন ৫০, পটোল ৪০, পুঁইশাক ২০, কাঁচা মরিচ ১০০ ও কাঁচকলা হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা দোকানিরা।

মাছের বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম ছিল চড়া। মাঝারি আকারের ইলিশ প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১২০০, রুই (বড়) দেশি ৩৫০ থেকে ৪০০, নলা ১৮০ থেকে ২০০, শিং ৫০০ থেকে ৮০০, চাষের কই এক কুড়ি ২০০ থেকে ২৫০ এবং মানভেদে গুঁড়া মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর