শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

স্কুলছাত্রী লাবিবার শরিফা বাগান

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

স্কুলছাত্রী লাবিবার শরিফা বাগান

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মহলাল গ্রামের স্কুল ছাত্রী লাবিবা শরিফা চাষে সফল হয়েছে।  সে ২০০৯ সালে বাবার সঙ্গে রাজনগর উপজেলায় বৃক্ষ মেলা দেখতে গিয়ে আঙ্গুর, ডালিম, লিচু ও শরিফাসহ বিভিন্ন ফলের চারা কিনে নিজের বাড়িতে লাগায়।

রোপণের পর ২০১৪ সাল থেকে প্রতিটি গাছে শুরু হয় ফল ধরা। তবে ফলগুলোর মধ্যে শরিফা ফলটির স্বাদ অন্য রকম। এ ফল ছিল এখানকার লোকদের কাছে অচেনা। লাবিবা এর আবাদ করে শরিফাকে পরিচিতি করে তুলেছে। এখন তার দেখাদেখি প্রতিবেশী     ও আত্মীয়স্বজনরাও চারা রোপণ শুরু করেছেন। এই ফলটি এখন সবার কাছে পরিচিতি লাভ করছে। ফল বিক্রয় করেন- কিনা জানতে চাইলে লাবিবা জানায়, ‘একটি আঙ্গুর গাছে ৫ থেকে ৬ কেজি, শরিফা গাছে ১৫ থেকে ২০টা শরিফা ধরে। এগুলো আমরা নিজে খেয়ে আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বণ্টন করি। পরিকল্পনা আছে ভবিষতে বাণিজ্যিকভাবে চারা রোপণ করে ফল বাজারে বিক্রি করবো।’ ওয়াকেবহাল সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ও চায়ের রাজধানী খ্যাত ও আঁকাবাঁকা পাহাড়ের বেষ্টনিতে আবদ্ধ মৌলভীবাজারের পাহাড়গুলোতে রয়েছে হরেক রকমের ফল মূল ও বিভিন্ন জাতের ঔষধি গাছপালা। তবে পাহাড় ছাড়া সমতল গ্রামগুলোতেও রয়েছে ফলমূল চাষের অপার সম্ভাবনা। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের নজর দেওয়া উচিত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর