সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

থানায় থানায় কড়া নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

থানায় থানায় কড়া নিরাপত্তা

থানায় থানায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বনানী থানা থেকে গতকাল তোলা ছবি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সব স্থাপনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থানায় থানায় বালুর বস্তা দিয়ে বাঙ্কার তৈরি করে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ফাঁড়ি ও পুলিশ বক্সগুলোতেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের অন্য গুরুত্বপূর্ণ থানা, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পগুলোতে।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থেকেই পুলিশের স্থাপনায় এ ধরনের সশস্ত্র পাহারার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রয়েছে প্রস্তুত। ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলার পর ডিএমপির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও নিয়েছে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে থানায় এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাজধানীর থানাগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, থানার সীমানা প্রাচীরের ভিতরেই বালুর বস্তা বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে। সেই বাঙ্কারে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। কোনো কোনো থানায় ভবনের কোনো রুমের ভিতর বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে। জানালা দিয়ে বাইরে অস্ত্র তাক করে আছে পুলিশের সদস্যরা। সাধারণ লোকজনের প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে পকেট গেট খোলা থাকছে সবার জন্য। গেটের কাছেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ফার্মগেট পুলিশ বক্সে কলাপসিবল গেট বন্ধ করে ভিতরে অবস্থান করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।

পল্লবী থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ‘স্যারদের নির্দেশনায় আমরা এই বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছি। আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর থানাগুলোতেও হামলা হবে বলে গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছে। তাদের এই আশঙ্কা থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’

কুষ্টিয়া : নানা সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলছে কুষ্টিয়ার পুলিশ ক্যাম্প। সম্প্রতি জঙ্গি হামলার পর বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এসব পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতে অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্প পাহারার দায়িত্বে থাকছে পুলিশ।

জেলায় সব মিলিয়ে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে ৩৫টি। এর মধ্যে তিনটি ফাঁড়ি ও একটি তদন্ত কেন্দ্র রয়েছে। প্রত্যেক পুলিশ ক্যাম্পের জন্য একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) থাকার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি ক্যাম্পে ২২ জন করে ফোর্স থাকার নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ ক্যাম্পে তা নেই। অনেক ক্যাম্পে বেশির ভাগই আনসার সদস্য।

জেলার ছয়টি উপজেলা ও একটি থানার অধীন এমনো পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে যেখানে কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। এসব ক্যাম্পের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, তার থানার আওতায় পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে মনোহরদিয়া ইউনিয়নের পুলিশ ক্যাম্পে কোনো সীমানা প্রাচীর নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর