সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
গুলশান হামলা নিয়ে পুলিশ

হোতাদের গ্রেফতার সময়ের ব্যাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা কীভাবে হয়েছে, কারা করেছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ এবং সন্দেহভাজন অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। ঘটনার  হোতাদের গ্রেফতার এখন সময়ের ব্যাপার বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল   দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুলশান হামলার পর পুলিশের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হয়েছে। নগরীতে নিরাপত্তার জাল সৃষ্টি করা হয়েছে। চেকপোস্ট ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গিবাদ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অপতত্পরতা চলছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা নস্যাৎ করে দেওয়া হবে। জঙ্গি-সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। কোরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদের জঙ্গিবাদে উসকে দেওয়া হচ্ছে। যারা এর পেছনে কাজ করছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ নিয়ে একটি মহল গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ডিএমপি প্রধান বলেন, ছয় মাস আগ থেকে ডিএমপি ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহে নামে। ২০ লাখ তথ্য ফরম সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ লাখ তথ্য ফরম জমা হয়েছে। এ ফরমে মিথ্যা তথ্য, তথ্য গোপন বা কেউ তথ্য দিতে বাকি আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এসব তথ্য দিয়ে ক্লুলেস মামলাসহ অনেক মামলার রহস্য দ্রুত উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। তথ্যগুলো সন্নিবেশিত করতে পারলে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। নিরাপত্তার স্বার্থে নগরবাসী নিজ দায়িত্ববোধ থেকে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। হলি আর্টিজানে হামলাকারীরা ভাটারা ও শেওড়াপাড়ার দুটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেসব বাসা চিহ্নিত করে দুই বাড়ির মালিকসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ভাড়াটিয়াদের তথ্য পুলিশকে দেয়নি। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কাউকে বাসা ভাড়া দেওয়ার আগে তার ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও বিস্তারিত জানতে হবে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে বাড়িওয়ালাও ফেঁসে যাবেন। কেউ তথ্য গোপন করলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনেকে হয়রানি এড়াতে পুলিশকে তথ্য দেন না। তাদের জন্য ডিএমপি অপরাধ তথ্য অ্যাপস চালু করতে যাচ্ছে। যে কোনো অপরাধের তথ্য লিখে এই অ্যাপসে সেন্ড করা যাবে। এতে তথ্য প্রদানকারীর কোনো তথ্য থাকবে না। দ্রুতই এই অ্যাপসটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। এই অ্যাপস প্রকাশের পর রাজধানীর অপরাধ অনেকটা কমে আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর