সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

৩০০ টন বরাদ্দে ১৫০ টন যায় এমপিদের পকেটে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, টেস্ট রিলিফ (টিআর) এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির অর্ধেকই যায় এমপিদের পকেটে। ৩০০ টন বরাদ্দ হলে ১৫০ টন যায় এমপির পকেটে। বাকি ১৫০ টনের সিংহ ভাগ যায় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পকেটে। আমরা চোখ বন্ধ করে এই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি। তবে সব এমপিই হয়তো চুরি করেন না। কিন্তু বেশির ভাগ এমপিই এ কাজটি করেন। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ সামিট : টেকসই উন্নয়ন’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সম্মেলন কক্ষে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনটি সোমবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত চলবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, টিআর এবং কাবিখা কর্মসূচিতে কোটি কোটি টাকা চুরি হচ্ছে। এর ৮০ ভাগই চুরি হয়ে যায়। বরাদ্দের কিছুই সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে না। এমপি, আমলা ও ইউপি চেয়ারম্যানরা এ খাতে চুরির চক্র তৈরি করেছেন। এটাকে দূর করতে হবে। প্রয়োজনে এ খাতের দু’একজনকে কারাদণ্ড দিতে হবে। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে এ চুরি বন্ধ করতে হবে। চুরি বন্ধে উন্নয়ন বাজেটের অর্থ সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে দেওয়া উচিত। এতে উন্নয়ন বৈষম্য কমে আসবে। সরকার টেকসই উন্নয়ন, গণতন্ত্র বিকাশ ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। সুশাসন ও শান্তি না থাকলে প্রবৃদ্ধি করা কঠিন। পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয় করে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

ইনু বলেন, এ মুহূর্তে দেশের জন্য দুটি চ্যালেঞ্জ— টেকসই ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র। জনগণের অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব না। দারিদ্র্য হয়তো দূর হবে কিন্তু বৈষম্য থেকেই যাবে। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে জঙ্গিবাদ দূর করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রবৃদ্ধিসহ সামাজিক বৈষম্য দূর করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে হবে। গরিব উৎপাদনের কাঠামোর সংস্কার করতে হবে। যে কাঠামো গরিব উৎপাদন করে তার কোনো প্রয়োজন নেই। সবার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করে ১৬ কোটি মানুষকেই টেকসই উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে হবে। ইন্টারনেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিল করা উচিত। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধি করা জরুরি। তা না হলে আমাদের ছেলেমেয়েরা উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে পিছিয়ে পড়বে।

পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মনজুরুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, অ্যামিনেন্স অ্যাসোসিয়েটস ফর স্যোশাল ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা শামীম হায়দার তালুকদার প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর