বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

আরিফের বিকল্প ভাবছে সিলেট বিএনপি

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

আরিফের বিকল্প ভাবছে সিলেট বিএনপি

সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারান্তরীণ রয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ মামলার সুরাহা হওয়ার আগেই দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় জড়িয়ে গেছেন আরিফ। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে আবেদন করেছেন তদন্ত      কর্মকর্তা। এ অবস্থায় আরিফুল হক চৌধুরীর কারামুক্তি ও মেয়র পদ ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত দলের নেতা-কর্মীরা। আরিফের সাজা হয়ে গেলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কাকে প্রার্থী করা যায় তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন দলের নেতারা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফের বিকল্প খুঁজতে সোমবার রাতে মহানগর  বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের বাসায় মহানগর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা গোপন বৈঠক করেন। ওই সভায় আরিফুল হক চৌধুরীর মামলাগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় আরিফকে জড়ানোর কারণে তার ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা বা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর হামলা মামলার কোনোটায় সাজা হয়ে গেলে আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হবেন। তখন উপনির্বাচন হলে বিএনপি থেকে মেয়র প্রার্থী কে হবেন এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেন দলীয় নেতারা। বৈঠকে আরিফের বিকল্প হিসেবে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মত দেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। নাসিম হোসাইন বিগত সিটি নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এদিকে শমসের মবিন চৌধুরীর বিএনপিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম ও সুনামগঞ্জ-২ আসনে মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হওয়ার পক্ষে মত দেন উপস্থিত নেতারা। এ ছাড়া বৈঠকে আরিফুল হক চৌধুরীকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।  তবে বৈঠকে সিটি করপোরেশন বা সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি দাবি করে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, ‘ওই বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক ছিল না। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের নিয়ে একসঙ্গে বসেছিলাম। এ সময় দলীয় আলাপ-আলোচনার পাশাপাশি আরিফুল হক চৌধুরীকে নতুন আরেকটি মামলায় জড়ানোর ঘটনায় নগরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

সর্বশেষ খবর