বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঝিনাইদহের জঙ্গি ঘাঁটিতেই ছিলেন নিবরাস ও আবির

বাড়ির মালিক ও ইমামের স্বীকারোক্তি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ায় আলোচিত মেসে কথিত জঙ্গি নিবরাস ও আবির রহমান ছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার সাবেক সেনা সদস্য ও মেসের মালিক কাউছার আলী এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামান। নিবরাস নিজেকে সাঈদ ও আবির তার খালাতো ভাই শাওন পরিচয় দিয়ে থাকতেন। তাদের স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানা থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলো। যদিও ঝিনাইদহের পুলিশ জঙ্গি আস্তানার বিষয়টি বরাবর অস্বীকার করে আসছিল। এদিকে নিখোঁজের ২০ দিন পর কাউছার ও রোকনকে ঝিনাইদহ র‌্যাবের আটকের দাবি নিয়ে তাদের পরিবারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ জানান, ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময় মেসমালিক কাউছার ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম রোকনকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘র‌্যাব কাউছার আলী ও রোকনুজ্জামান নামে দুই ব্যক্তিকে থানায় দিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, কেন আটক করেছে এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, জঙ্গি নিবরাস ইসলাম ও আবিরকে সহায়তার দায়ে ৬ জুলাই ঝিনাইদহের সোনালীপাড়া থেকে পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যান ঢাকা থেকে আগত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।’ এদিকে সাবেক সেনাসদস্য কাউছার আলী ও মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামানকে থানায় সোপর্দ করলেও এখনো বিনছার আলী, বেনজির ও হাফেজ আবদুর রব ফিরে না আসায় তাদের পরিবারে শঙ্কা বাড়ছে। তবে তাদের পরিবারের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফোন করে এই তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে নিয়ে আসার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর