বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

গুলশান ও ধানমন্ডির ১৫ প্রতিষ্ঠান বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলশান ও ধানমন্ডির ১৫ প্রতিষ্ঠান বন্ধ

রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল বনানীর অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

গুলশান, রামপুরার বনশ্রী ও ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের সময় গতকাল ১৫টি গেস্ট হাউস, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, বার বন্ধ করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গুলশানে দ্বিতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযানে একটি আবাসিক হোটেল, তিনটি রেস্তোরাঁ ও একটি গাড়ির শো-রুম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া একটি বাড়ির নিচতলার পার্কিং উদ্ধার, একটি বাড়ির সামনের র‌্যাম্প এবং আরেকটির সামনে অবৈধ বর্ধিত অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার অলিউর রহমান। জানা গেছে, গতকাল ধানমণ্ডির ৬ ও ১১ নম্বর রোডে রাজউকের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিনটি রেস্টুরেন্ট, ছয়টি দোকান এবং একটি ডেন্টাল চেম্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও একটি  ইউনিভার্সিটি, একটি স্কুল, একটি হাসপাতাল ও একটি ওষুধের ফ্যাক্টরিকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে মুচলেকা আদায় করা হয়। এ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এই অভিযানে আমরা প্রায় ১০টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি। একই সঙ্গে কিছু অবৈধ প্রতিষ্ঠান সরানোর ব্যবস্থা করেছি। রাজউকের আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে রামপুরার বনশ্রীতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় সেখানকার দোকানদার, বাড়ির মালিকরা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাদের বাধার মুখে পড়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং বাড়ির সামনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফিরে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, তারা আমাদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তাদের প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেবেন। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করেছি। আর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী না সরালে পরে তা উচ্ছেদ করা হবে।

গুলশান-বনানীর পাঁচ প্রতিষ্ঠানে উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ : স্কলাস্টিকা স্কুলসহ রাজধানীর গুলশান ও বনানী এলাকায় অবস্থিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পৃথক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর মধ্যে গুলশান নর্থ এভিনিউতে অবস্থিত স্কলাস্টিকা স্কুল ও গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত অরুরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল স্থানান্তরে কর্তৃপক্ষকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত হোটেল হলিডে প্যানেট, হোটেল আমরাই ও বনানীর কফি ওয়ার্ল্ড স্থানান্তরে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

গুলশানে হামলার পর ওই এলাকায় থাকা অনুমোদনবিহীন ৫২৫টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে রাজউক। সোমবার থেকে এসব উচ্ছেদে কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে ওই এলাকায় থাকা স্কুল ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদের আশঙ্কা থেকে স্কুল ও হোটেল কর্তৃপক্ষ এসব রিট করে। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, আবদুল কাইয়ুম, ওমর সাদাত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

সর্বশেষ খবর