শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
গাজীপুরে বোমা হামলা

ছয় জঙ্গির ফাঁসি বহাল, দুজন খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর আইনজীবী সমিতি ভবনে বোমা হামলা চালিয়ে আটজনকে হত্যার ঘটনায় ১০ আসামির মধ্যে জেএমবির ছয় জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া দুই আসামিকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও অপর দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ মামলার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি করে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

২০১৩ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ছয়জন হলেন—এনায়েত উল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ ওরফে জুয়েল, আরিফুর রহমান ওরফে আকাশ ওরফে হাসিব, সাইদুর মুন্সী ওরফে শহীদুল মুন্সী ওরফে ইমন ওরফে পলাশ, আবদুল্লাহ আল সোহেল ওরফে যায়িদ ওরফে আকাশ, নিজাম উদ্দিন রেজা ওরফে রনি ওরফে কচি ও তৈয়বুর রহমান ওরফে হাসান। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মসিদুল ইসলাম মাসুদ ওরফে ভুট্টো, আদনান সামী ওরফে আম্মার ওরফে জাহাঙ্গীর। এ ছাড়া মো. আশরাফুল ইসলাম ওরফে আরসাদ ওরফে আব্বাস খান ও মো. সফিউল্লাহ ওরফে তারেক ওরফে আবুল কালাম হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন।

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন, আফজাল এইচ খান ও মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা। দুজনের সাজা কমানো ও দুজনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর সাংবাদিকদের জানান।

২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর আইনজীবী সমিতি ভবনে শক্তিশালী দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই হামলায় আত্মঘাতী জেএমবি সদস্য আজাদ ওরফে জিয়া ওরফে নাজির ওরফে নাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাজীপুর বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, আইনজীবী নুরুল হুদা, আনোয়ারুল আজম ও গোলাম ফারুক এবং চার বিচারপ্রার্থী। এ ঘটনায় জেএমবি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমান সানী, আত্মঘাতী হামলাকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৪ জুলাই পুলিশ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে জেএমবি নেতা শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানী ও খালেদ সাইফুল্লাহর অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবং হামলাকারী আজাদ ও তার সহযোগী জেএমবি সদস্য মোল্লা ওমর ওরফে শাকিলের মৃত্যু হওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। শুনানি শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালে রায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। নিম্ন আদালতের রায়ের পর ওই বছরই আসামিদের ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে চার আসামি আপিল ও ১০ আসামি জেল আপিল করেন।

সর্বশেষ খবর