শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

অস্ত্র মামলায় দুজন আসামি, চার্জশিট দাখিল

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

অস্ত্র মামলায় দুজন আসামি, চার্জশিট দাখিল

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যায় ব্যবহূত অস্ত্র ও গুলির উত্স অজানা রেখেই আদালতে মামলাটির চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে মিতু হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হানিফুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মনির হোসেনকে আসামি করা হয়। চার্জশিটে ১১ জনকে সাক্ষী করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায়      এ চার্জশিট জমা দেন বাকলিয়া থানার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মহিম উদ্দিন। তবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের ও অন্যতম পরিকল্পনাকারী কামরুল ইসলাম ওরফে মুছা সিকদারকে চার্জশিটে আসামি করা হয়নি।

চট্টগ্রাম বারের সিনিয়র আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘অস্ত্র মামলার চার্জশিটে নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশনের ভিত্তিতে আসামি করা হয়। সে হিসেবে কিলিং মিশনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের এ মামলার চার্জশিটে আসামি করা উচিত ছিল পুলিশের। কিন্তু কেন তাদের আসামি করা হয়নি তা আমার বোধগম্য নয়।’ মুছাসহ কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের আসামি না করা প্রসঙ্গে বাকলিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, ‘সাধারণত অস্ত্র যার কাছে পাওয়া যায়, তাকেই আসামি করা হয়। ভোলা ও মনিরের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে শুধু তাদের আসামি করা হয়েছে। কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের হত্যা মামলায় আসামি করা হবে।’ আদালতে জমা দেওয়া পুলিশের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ‘মিতু হত্যা মামলার আসামি মোতালেব ওরফে ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন ২৫ জুন গ্রেফতারের পর স্বীকার করেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা অস্ত্র-গুলি ভোলার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন পুলিশের খাতায় ‘পলাতক’ মুছা সিকদার। ২৭ জুন ভোলা ও মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ অস্ত্র-গুলি নিজেদের হেফাজতে রাখায় ভোলা ও মনিরকে চার্জশিটে আসামি করা হয়। কিন্তু ভোলা কার নির্দেশে মুছাকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং অস্ত্র ও গুলির উত্স কী, তা উল্লেখ করেনি। অস্ত্র ও গুলির উত্স অজানা রাখার বিষয়ে বাকলিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, ‘হত্যা মামলার অস্ত্র সরবরাহকারী ভোলা একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। অস্ত্র ও গুলিগুলো তার কাছে দীর্ঘদিন ছিল। মনির তা রক্ষণাবেক্ষণ করত। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ভোলা ও মনির অস্ত্রের উত্স বিষয়ে মুখ খোলেনি। তাই অন্য কাউকে আসামি করা সম্ভব হয়নি।’ গত ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৭ জুন মিতু হত্যার অস্ত্র সরবরাহকারী হানিফুল হক ওরফে ভোলা ও মনির হোসেন ওরফে মনিরকে বাকলিয়া থানার রাজাখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় মিতু হত্যায় ব্যবহূত একটি পয়েন্ট থার্টি টু বোর রিভলবার, সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ বোর পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

সর্বশেষ খবর