নোয়াখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় আহত এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম আবদুল আজিজ রিমেল (২৩)। তিনি সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুর গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। ১৮ জুলাই বাড়ি যাওয়ার সময় দাদপুর ইউনিয়নের গৌরীপুরে রিমেল ও তার বাবা গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ৪ জুন অনুষ্ঠিত দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলু ও বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানে শিপনের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকে উভয় পক্ষ সংঘাত-সহিংসতা পরিহারের অঙ্গীকার করে। তবে ওই সিদ্ধান্তে স্থির না থেকে ১৮ জুলাই রাতে দুই পক্ষ খলিফার হাট বাজার ও গৌরীপুরে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাত ৮টার দিকে রিমেল ও তার বাবা জেলা শহর মাইজদী থেকে বাড়ি ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন। তাদের প্রথমে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল, সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় আফসার উদ্দিন অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠলেও আইসিইউতে থাকা রিমেলকে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনায় আহতদের থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলা হলেও তারা তা করেননি। এখন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
