সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যশোর

আগুন সন্ত্রাসীরাই জঙ্গি সেজেছে --- শাহীন চাকলাদার

সাইফুল ইসলাম, যশোর

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যশোর

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতেই এই জঙ্গি সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। যারা এই জঙ্গি তৈরি করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাঈদী, গোলাম আযম, নিজামীদের রক্ষা করা। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় ও পরে যারা আগুন সন্ত্রাস করেছিল, তারাই এখন নতুন করে জঙ্গি সেজেছে। সম্প্রতি দেশের কয়েকটি স্থানে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। তিনি বলেন, যে ছেলেগুলোকে জঙ্গি বানানো হচ্ছে, এরা সবাই তরুণ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। এদের বিভিন্নভাবে ব্রেনওয়াশ করা হচ্ছে। বেসিক্যালি আমাদের দেশে জঙ্গি তৈরি হওয়ার কোনো কারণ নেই, কোনো সুযোগও নেই। ছোট্ট একটি দেশ। কোথায় গোপনে ট্রেনিং নেবে আর গোপন মিটিং করবে? তিনি বলেন, দেশ অব্যাহতভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অন্ধকার দেশ আলোকিত হয়ে গেছে। একটা শ্রেণি এসব উন্নয়নকে বাঁকা চোখে দেখছে। কিছু কিছু আন্তর্জাতিক মহলও ঈর্ষান্বিত। আসলে জঙ্গি-টঙ্গি কিছু নয়, শেখ হাসিনার সরকারকে উত্খাতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই জঙ্গি ইস্যু সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উত্খাতের এই ষড়যন্ত্র আমরা কোনোভাবেই সফল হতে দেব না। স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি একজোট হয়ে এই ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। তিনি বলেন, যেভাবে আমরা একসঙ্গে আগুন সন্ত্রাস রুখে দিয়েছি, একইভাবে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ চিরতরে নির্মূলের জন্য অব্যাহতভাবে রাজপথে থাকব আমরা। ইতিমধ্যেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐকবদ্ধ করতে আমরা গ্রামে, গঞ্জে, শহরে সভা-সমাবেশ সেমিনার করছি। সবাই আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। সরকারের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী কড়া নজরদারি করছে। এ অবস্থায় আমরা মনে করি, জঙ্গি ইস্যু শেষ হয়ে গেছে। যে দু-একটি ঘটনা ইতিমধ্যে ঘটেছে, এমন ঘটনা আর কখনো ঘটবে না। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে দেশে জঙ্গিবাদের ‘জ’-ও থাকবে না। দ্বিতীয় মেয়াদে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা এই নেতা বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে। মা-বাবারা সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করতেন। এখন তারা সতর্ক হবেন। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অভিভাবকও তাদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। একই সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর