মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

শর্ষের মধ্যে ভূত যাতে না থাকে

——— ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

 শর্ষের মধ্যে ভূত যাতে না থাকে

দেশীয় সন্ত্রাসীদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ থাকতে পারে, কিন্তু এ দেশে আইএস বা কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নেই। এ দেশে যা হচ্ছে তা দীর্ঘকালীন অপরাজনীতির ধারাবাহিকতা। দেশের অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিতরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে একাত্তরের পরাজিত রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জঙ্গিবাদ লালন করছে এ দেশে। জঙ্গিবাদ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তার মতে, ‘গেল জুন মাসে আমাদের প্রাপ্তিতে সহ্য করতে না পেরে জুলাই মাসে গুলশান ও শোলাকিয়ায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। জুন মাসে একদিকে আমরা ৩ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেয়েছি, অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ এক বছরে ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধির খবর এবং গড় আয়ু ৭০ বছর ১০ মাস ২৪ দিনে উন্নীত হওয়ার মতো আরও কিছু অর্জন আমাদের হয়েছে। এতে প্রতিক্রিয়াশীলরা চরম ঈর্ষান্বিত। অগ্রগতির ধারাকে সুপরিকল্পিতভাবে নস্যাৎ করতেই ওরা জঙ্গি হামলা করেছে। যেদিন গুলশানে রেস্টুরেন্টে হামলা করা হয়েছে, ওই দিন সেখানে আমাদের পরম মিত্র জাপান ও ইতালির নাগরিক বন্ধুরা ছিলেন। জাইকার প্রকল্পে অগ্রগতির কারণে জাপানিদের আর গার্মেন্টস সেক্টরের ক্রেতা হিসেবে ইতালির নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছে।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যারা এই অপতত্পরতা অব্যাহত রেখেছে, তারা ধার্মিক নন। তারা হিংস্র প্রাণী। সরকারকে তাদের সব বাহিনীর সমন্বয়ে অঞ্চলভিত্তিক চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে রোধ করতে হবে। গোয়েন্দাদের মধ্যেও সংস্কার বা শুদ্ধি দরকার। ‘শর্ষের মধ্যে ভূত’ যাতে না থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। চবি উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতি বিশ্বের অনেক দেশেরই ঈর্ষার কারণ হতে পারে। এ দেশে প্রতিক্রিয়াশীলদের তাণ্ডব নতুন কিছু নয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, তার আগে বাম-উগ্রবাদীদের সন্ত্রাস, জাসদের গণবাহিনী বা সিরাজ সিকদারের বাহিনীর ত্রাস, উদীচী হামলা, কাজী আরেফ হত্যা, আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপি বা সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড কিংবা ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা—সব এই প্রতিক্রিয়াশীলদেরই অপকর্ম।

সর্বশেষ খবর