মাদারীপুরে বাহারি কবুতরের খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছে বেকার যুবকরা। শটপিস, স্টাটাস কিং, রেসার হোমা, বিউটি হোমা, সিলভার সিরাজি, কালো সিরাজি, মুখি, লোটাসসহ নানা জাতের কবুতর পাওয়া যায় খামারিদের কাছে। খামারিরা জানান, প্রতি মাসে এক থেকে দুই জোড়া বাচ্চা দেয় কবুতরগুলো। কবুতর একটু বড় হলেই কবুতর ভেদে ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্থে মাদারীপুর পৌর মার্কেটে প্রতি শুক্রবার বসে কবুতরের হাট। এখানে বিক্রেতারা বাহারি কবুতর নিয়ে আসে। ক্রেতারাও তাদের পছন্দমতো কবুতর কিনে নিয়ে যায়। কবুতর পালনে মানুষকে আকৃষ্ট করতে প্রতি বছর কবুতর প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয় জেলার পৌর এলাকায়। কবুতর পালনকারী রিয়াজ লস্কর বুলেট জানান, আমি শখের বশে কবুতর পালন করি। এই শখই আমার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আমি অবসর সময়ে কবুতর পালন করে বেশ লাভবান হয়েছি। আমার মতো অনেক বেকার যুবক কবুতর পালন করে এখন সাবলম্বী। মাদারীপুরে কবুতর পালনকারীদের একটি সমিতিও ইতিমধ্যে গড়ে ওঠেছে। সমিতি গঠন হওয়ায় অনেকেই কবুতর পালনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। খামারে উৎপাদিত বাচ্চা কবুতর খুব সহজে বিক্রি করতে পেরে খুশি খামারিরা। মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. হুমায়ূন কবির কবুতর পালনকারীদের নানা প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।