পিরোজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে এক পরিবেশপ্রেমী। একইসঙ্গে থাকছে ফুল, ফলদ, ঔষধি ও বনজ গাছের চারা উৎপাদন ও বিপণনের নার্সারি। মালঞ্চ নামের এ সবুজ চত্বর আর পাখির অভয়াশ্রমের উদ্যোক্তা হলেন সুন্দরবন সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক ও ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার মুনিরুজ্জামান নাসিম আলী। রবিবার এর উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন। পাখির অভয়াশ্রমের সংরক্ষকও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, শহরের থানাপাড়া, নড়াইল পাড়া ও আমলাপাড়ার গাছে গাছে রয়েছে নানা প্রজাতির পাখির বসবাস। ঘুঘুর ডাক, শালিকের কিচিরমিচির আর বক পাখির ডানার ঝাঁপটার শব্দে ঘুম ভাঙে মহল্লাবাসীর। এসব পাখির বসবাস, বিচরণ ও প্রজননের জন্য একশ হাঁড়ি গাছ ও দালানে বাসা বাঁধার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেখানে পাখিরা ডিম দেবে বাচ্চা ফোটাবে। মালঞ্চের ব্যবস্থাপক সাইফুল্লাহ হুমায়ূন জানান, সদর থানার সামনে পুলিশের অব্যবহূত এক খণ্ড জমিতে সম্পূর্ণ পরিবেশ মনস্কতা নিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে তৈরি এ মালঞ্চে রয়েছে নানা ফুল, ফলদ, ঔষধি ও বনজ গাছের চারার ব্যতিক্রমী সংগ্রহ। ইতিমধ্যে উদ্যোক্তারা রঙ্গন, মুচন্ডা স্নোপাইনদিয়া, আলমান্দা, ড্রেসিনালাল, কৈলাস, জবাসহ হরেক রকম ফুল এবং ফলের সেরা আম, মাল্টা (থাইল্যান্ড ও ইন্ডিয়ান), থাই পেয়ারা, স্বরূপকাঠির পেয়ারা, কমলা, জামরুল (সবুজ), আমড়া (থাই), কামরাঙ্গা (থাইল্যান্ড ও দেশি), চালতা ইত্যাদির সমাহার ঘটিয়েছে। রকমারি ও অপূর্ব আমের মধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ড জাতের সূর্য ড্রিম, পালমা, ডগমাই, মৌরাস, কাঁচা মিঠা, হাইব্রিড বৈশাখী, আম্রপলি, মল্লিকা, ফজলি-সুরমা, হিমসাগর, ইন্ডিয়ান বৈশাখী ও আশ্বিনা। ভেষজের মধ্যে রয়েছে অ্যালোভেরা (ঘৃত কুমারী), তেজপাতা, হরীতকী আমলকী, ডায়াবেটিস পাতা ইত্যাদি। রয়েছে বনজ নানা গাছের চারা। এসবই বাণিজ্যিকভাবে বিপণন হবে। বিশিষ্ট কৃষিবিদ ও শহরের প্রবীণ সাংস্কৃতিক কর্মী আফম রেজাউল করীম বলেন, এ উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রযুক্তি সহযোগিতা দেবে।
