বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
কুবিতে হত্যাকাণ্ড

ছাত্রলীগ নেতাসহ ৬ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যার ঘটনায় আদালত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৬ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গতকাল দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার সুমি এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ গ্রেফতারকৃত ৬ জনকে আদালতে হাজির করে ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিলেন। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারকৃত এই ৬ জন হচ্ছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাজেদ বাগিরঘাট গ্রামের আবদুল বাতেনের ছেলে গণিত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ও কুবি ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক রেজাউল ইসলাম (২৩), কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বিষ্ণপুর নোয়াপাড়া গ্রামের জহিরুল আলমের ছেলে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জাহিদুল আলম (২৭), কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ার লেশখালী গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে লোকপ্রশাসন বিভাগ মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র আবুবকর ছিদ্দিক (২৬), চট্টগ্রামের মীরশ্বরাই উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত বিমল নাথের ছেলে বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র সুদীপ্তনাথ (২৪), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চান্দিশকরা (মধ্যপাড়া) গ্রামের পরশ চন্দ্র দেবনাথের ছেলে বিবিএ ৩য় বর্ষের ছাত্র ও কুবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুপম চন্দ্র দেব নাথ (২৩), মাগুরা সদর উপজেলার সাতদোহাপাড়া গ্রামের কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে নৃ-বিজ্ঞান ৩য় বর্ষের ছাত্র সজন বরণ বিশ্বাস (২১)। তাদের মধ্যে সজন চন্দ্র বিশ্বাস ও রুপম চন্দ্র দেবনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক ছাত্র এবং অন্যরা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক ছাত্র।

যে কারণে হত্যাকাণ্ড : কুবি প্রশাসনের দুর্বলতা ও ছাত্রলীগ নেতাদের ঠিকাদারিতে আধিপত্য বিস্তারের জন্য দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি হলের মধ্যে তিনটি ছাত্র হল। এখানে আসন সংখ্যা ৫০০ হলেও বহিরাগতসহ থাকছে সহস্রাধিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির অনুমতি না থাকলেও রাজনীতি নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হচ্ছে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সম্প্রতি সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হলেও প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রায়ই ছাত্র নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাজের টেন্ডার ঠিকাদারদের পাইয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন। আবার অনেক সময় ছাত্র নেতার চাহিদামাফিক হলের কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব বিষয়ে ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের প্রধান ধীরেন্দ্রনাথ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর