শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
পজেটিভ বাংলাদেশ

সরাসরি জাহাজ যাবে থাইল্যান্ড শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

সরাসরি জাহাজ যাবে থাইল্যান্ড শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার

ভারতের পর এবার মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে উপকূলীয় বাণিজ্যিক জাহাজ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে থাইল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে থাইল্যান্ডের গভর্নরের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা ঘুরে গেছে। অন্য দুদেশের সঙ্গেও এ বছরের মধ্যে চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। সরাসরি সমুদ্রপথে যুক্ত হলে এ তিন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির সময় একমাস থেকে ৫/৬ দিনে নেমে আসবে। আর কনটেইনার পরিবহন খরচ ২ হাজার ৪০০ থেকে ৮০০ ডলারে নামবে। ফলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে প্রায় একমাস সময় লাগে। চলতি নিয়মে এসব দেশ থেকে পণ্যবাহী জাহাজকে প্রথমে সিঙ্গাপুর যেতে হয়। সেখান থেকে অন্য জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। আর সরাসরি উপকূলীয় জাহাজ যোগাযোগ চালু হলে এ ক্ষেত্রে সময় নেমে আসবে মাত্র ৫ থেকে ৬ দিনে। এতে কনটেইনার প্রতি পরিবহন খরচ কমবে এক লাখ ৩২ হাজার টাকা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পাশাপাশি মালদ্বীপের সঙ্গেও উপকূলীয় জাহাজ চলাচলে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চলছে। থাইল্যান্ডের রানং বন্দর থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি জাহাজ চলাচল করবে। মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। উল্লেখিত দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি উপকূলীয় জাহাজ চলাচল শুরু হলে বর্তমানে যে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশি জাহাজকে দিতে হয়, তা দেশীয় জাহাজ ও জাহাজ মালিকরাই পাবেন। এতে দেশের টাকা দেশেই থাকবে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়। চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মো. জাফর আলম বলেন, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। ওই দেশগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সম্ভাবনা যাচাই করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমানে কি পরিমাণ বাণিজ্য আছে এবং সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে কতটুকু প্রসার ঘটবে সেটাও বিবেচনায় রাখছে তারা। তবে বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও উপকূলীয় যোগাযোগ বাড়িয়ে দেশের বাণিজ্যিক ও আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জনে যুগপৎ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা বাস্তবে রূপ নিতে বেশি সময় লাগবে না। এতে সেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি অনেকাংশে কমে আসবে।

সর্বশেষ খবর