কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা ঘটনার এক মাস পূর্ণ হলো আজ। সময়ের আবর্তে এখানকার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে এলেও শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি নিহত ঝরনা রানীর পরিবার। স্বামী ও সন্তানরা তার স্মৃতি ধারণ করে নীরবে চোখের জল ফেলে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে মা নিজ হাতে খাইয়ে দিত, পড়াত, মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াত ছোট ছেলে শুভকে, ওর সেই মা আজ নেই— এটা ভাবতেই কষ্ট হয় ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া এই ছেলের। ঠিকমতো নাওয়া-খাওয়া হয় না ওর, পড়ালেখায় মন বসে না। ওর খেলার সাথীই ছিলেন মা। তাকে হারিয়ে শুভ এখন বাকরুদ্ধের মতো। কর্মচঞ্চল ঝরণার স্বামী গৌরাঙ্গ নাথ ভৌমিকও যেন নিথর হয়ে গেছেন। মা-বিহীন সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই তারও। ঘটনাটি তার কাছে বিনা মেঘে বজ াঘাতের মতো। উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রায় চারশ গজ পশ্চিমে আজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পুলিশের চেকপোস্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে দুই পুলিশ, এলাকার গৃহবধূ ঝরণা রাণী ও আবির রহমান নামে এক জঙ্গি নিহত হন। এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের হাতে আটক আসামির স্বীকারোক্তির বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে কিছু বলতে চাননি তিনি। সবার মাঝে জঙ্গিবিরোধী মনোভাব জাগ্রত করার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত রাখা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।