মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

পদাতিকের গহনযাত্রা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

পদাতিকের গহনযাত্রা

পদাতিক নাট্য সংসদের প্রযোজনায় শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক ‘গহনযাত্রা’। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় এ নাটকটি।

রুবাইয়াৎ আহমেদের রচনায় নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন সুদীপ চক্রবর্তী। এই ভূখণ্ডের কোনো এক স্থানে জন্ম নেয় উগ্রপন্থার। সেই উগ্রপন্থার অনুসারীরা বিপরীত সব মতবাদ প্রত্যাখ্যান করে শুধু একটি মতবাদকেই প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য তারা চালায় ধ্বংসলীলা, বইয়ে দেয় রক্তগঙ্গা, হত্যা করে অগণিত মানুষ, ধর্ষিত হয় অসংখ্য নারী। ভিন্ন মতাদর্শের এক ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের মানুষদের তারা ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে। বন্দীদশা থেকে পালাতে চায় অনেকে। কিন্তু মারা পড়ে তারা। শুধু একজন বেঁচে যায়। সালমা। কিন্তু বেঁচে গিয়ে ফিরে আসে সালমা। খোলা প্রান্তরে পড়ে থাকা লাশগুলো সমাহিত করবে বলে। এ সময়ে সালমা নিজের অভ্যন্তরে টের পায় অপর কারও অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্ব হয়তো তারই বর্ধিত কোনো রূপ কিংবা অপরূপে সে নিজেই অথবা অন্যকিছু। আমরা জানি না। সেই অস্তিত্ব তার সঙ্গী হয়। মৃতদের কবর দেওয়ার পর সালমা খোঁজ করে তার প্রার্থিত পুরুষের। খুঁজে পায় ল্যাম্পপোস্টে ছিন্নমস্তকে ঝুলে আছে সেই পুরুষ। সালমা উগ্রপন্থিদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঠিক তখন সালমা উপলব্ধি করে এ তার পরীক্ষা, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সে পাবে পরমের সান্নিধ্য। সালমার নিজের অন্তর্ধানের মধ্য দিয়ে মঙ্গল কামনা করে, যেন  সব অনাচার আর বিভেদ লুপ্ত হয় পৃথিবী থেকে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী। নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন শামছি আরা সায়েকা।

সর্বশেষ খবর