বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে চাই জিরো টলারেন্স

—একে আজাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে চাই জিরো টলারেন্স

বিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা এবং শিল্প ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বহাল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন এফবিসিসিআইর  সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিজনেস কাউন্সিলকে সক্রিয় করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী যাতে নিয়মিত ব্যবসায়ীদের কথা শুনতে পারেন, এজন্য প্রতি চার মাস পর শীর্ষ ব্যবসয়ীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়মিত বৈঠক চাই। শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকারের নেওয়া ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে দেশের শীর্ষ তৈরি পোশাকপণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, উদ্যোক্তারা গ্যাস-বিদ্যুৎ পেলেই বিনিয়োগ চাঙ্গা হবে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যাবে না। এর সঙ্গে ব্যাংকের সহনীয় হারে ঋণের সুদ নির্ধারণ করতে হবে। বিদেশি ব্যাংকগুলো আমাদের ৪ শতাংশ হারে যে ঋণ দেয়, তাও অব্যাহত রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রামে পণ্য পরিবহনের যাতায়াত সময় ও বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করতে হবে। বিনিয়োগে এগিয়ে আসা দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের হয়রানিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআইর সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য জ্বালানি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। জ্বালানি সমস্যা সমাধানের নিশ্চয়তা দিলে বিনিয়োগের অভাব হবে না। বাংলাদেশে প্রত্যাশিত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ না হওয়ার কারণ হলো এখানে বিনিয়োগকারীরা শিল্প প্রতিষ্ঠায় যেসব সুযোগ-সুবিধা চান, তা তাদের জন্য অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। যেমন বিনিয়োগকারীরা জমি চাইলে তা সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী দিতে পারে না। পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ, অবকাঠামোসহ অন্যান্য সমস্যা তো লেগেই আছে। অথচ বিশ্বের যে কোনো দেশে এসব সুযোগ-সুবিধা মেলে সহজেই। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আমলাতন্ত্রের লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে ঘুরে ফিরে উদ্যোক্তারা ক্লান্ত উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশেও বিনিয়োগের পদে পদে বাধা। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবিতে বিনিয়োগ বোর্ড যে ওয়ানস্টপ সেবা চালু করেছে তাও অত্যন্ত দুর্বল। পরিবেশের ছাড়পত্র পেতে ভোগান্তি আর নিম্নমানের বিদ্যুৎ সরবরাহে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের সরকার জানিয়েছে, আগামী ২০১৯ সালের আগে গ্যাস সংযোগ নয়। তার মতে, দুর্নীতি সমস্যা ব্যাপক। ব্যবসায়ীদের জন্য সব দরকারি সেবা একসঙ্গে দেওয়ার জন্য বিনিয়োগ বোর্ডে ওয়ানস্টপ সেবা চালু হলেও তার মান খারাপ।

সর্বশেষ খবর