বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

সন্তানসহ রাগীব আলীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সন্তানসহ রাগীব আলীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগানের ভূমি আত্মসাৎ ও বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের আলোচিত দুটি মামলায় শিল্পপতি রাগীব আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

গতকাল সিলেট মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো এ আদেশ দেন। আদালত যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তাদের মধ্যে রাগীব আলী ছাড়াও রয়েছেন তার ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রেজিনা কাদির, জামাতা আবদুল কাদির, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্ত ও রাগীব আলীর নিকটাত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ। সিলেট জেলা জজ কোর্টের পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখলে নেওয়ার মামলায় রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই বাগান সংশ্লিষ্ট প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা অপর মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয় আদালত। পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আরও বলেন, গত ১০ জুলাই আদালতে দুটি মামলার অভিযোগপত্র দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান। গতকাল শুনানির দিন থাকলেও রাগীব আলী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি বলেন, ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে রাগীব আলী তার আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদকে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন।

 চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালত তারাপুর চা বাগানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন গত ১৫ মে চা বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়া ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয়।

সর্বশেষ খবর