সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

দুদকের অভিযানে পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ব্যাংক ম্যানেজার আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের বিভিন্ন অভিযোগে এক পুলিশ কর্মকর্তা, দুই ব্যাংক ম্যানেজার ও এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের পৃথক দুই মামলার আসামি সোনালী ব্যাংকের একটি শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দুজনকে গতকাল রাজধানীর শংকর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি বাংলাদেশ  প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। দুদক জানায়, গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ মহিলা শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. আবদুস সামাদ ও নারায়ণগঞ্জের মেসার্স অ্যাঞ্জেল অ্যাপারেলসের মালিক মো. আনিসুজ্জামান। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ম্যানেজার মো. আবদুস সামাদ অন্য আসামিদের সহযোগিতায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই এ শাখার (বর্তমানে ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা) গ্রাহক মেসার্স শুভ ফ্যাশনকে রপ্তানি ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির বিপরীতে আমদানি করা মালামাল বিদেশে রপ্তানি না করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন, যেখানে ব্যাংকের ২২ কোটি ৯১ লাখ ৬২ হাজার ৫২৪ টাকা ক্ষতি সাধন হয়। অনুরূপভাবে মেসার্স অ্যাঞ্জেল অ্যাপারেলসের স্বত্বাধিকারী মো. আনিসুজ্জামান ওই শাখা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রপ্তানি ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে আমদানি করা মালামাল বিদেশে রপ্তানি না করে খোলাবাজারে বিক্রি করে ২৭ কোটি ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৩ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের ঢাকা-২-এর উপসহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান সরকার আসামিদের গ্রেফতার করেন। এ ছাড়া ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যশোরের ঝিকরগাছার গ্রামীণ ব্যাংকের সেন্টার ম্যানেজার অনির্বাণ মল্লিককে গ্রেফতার করেছে দুদক। রেশন স্টোরের দায়িত্ব পালনকালে প্রতারণা ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে রেলপুলিশের ওসি মো. আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে দুদক।

সর্বশেষ খবর