ভারত থেকে বাংলাদেশে হাইস্পিড ডিজেল আমদানির জন্য রুট ও মাটি পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্র জানায়, আগস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের প্রথমেই এ জন্য দুই দেশের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ তেলের প্রিমিয়াম কত হবে তা ঠিক করতে বাংলাদেশে আসছে। এ লক্ষ্যে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিমি. পাইপলাইন তৈরির বিষয়ে কথা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন হাইস্পিড ডিজেল বাংলাদেশে আমদানি করা হবে। চলতি বছর এপ্রিলে এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়। জানা যায়, ভারতের শিলিগুড়ির নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের মার্কেটিং টার্মিনালের স্টোরেজ থেকে পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে তেল সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ বর্ডার থেকে এটি ৭ কিমি. দূরে। সেই টার্মিনাল থেকে পার্বতীপুরে বিপিসির ডিপো পর্যন্ত ১৩০ কিমি পাইপলাইন করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তিও সই হয়েছে। এ জন্য ভারত-বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। বিপিসির চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ রেজা খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য দেশটির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। এ আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। রুট ঠিক করা, মাটি পরীক্ষা সব শেষ হয়েছে। এখন শুধু আমদানি করা তেলের প্রিমিয়াম ঠিক করতে হবে। আর চুক্তির কিছু বিষয়ে একমত হওয়াসহ অপারেশনাল বিষয়গুলো ঠিক করা বাকি আছে।’ তিনি বলেন, ‘পাইপলাইন করতে সময় লাগবে। এরই মধ্যে দুই পক্ষ এর জন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করেছে, যারা চুক্তিপত্রের অবশিষ্ট কাজ ও প্রিমিয়াম ঠিক করবে। আমরা ইতিমধ্যে এই ওয়ার্কিং গ্রুপকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আশা করছি আগস্টের শেষ বা সেপ্টেম্বরের প্রথমে তারা আসবে।’ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিপিসি যদি ভারত থেকে তেল আমদানির নিমিত্তে বাংলাদেশ অংশে আমাদের এই লাইন নির্মাণের জন্য বলে, তবে আমরা তা তৈরি করে দেব।’