বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা আছে এখানে

--—ড. জাহিদ হোসেন

শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা আছে এখানে

সরকার যে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা  আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন শুধু চীন থেকে সরে যাওয়া শিল্পের ২০ থেকে ২৫ শতাংশও যদি বাংলাদেশে আনার পরিবেশ তৈরি করা যায়, তাহলে ম্যানুফ্যাকচারিং বা শিল্প খাতে সম্ভাবনা যথেষ্ট। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা এবং অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সরকারের বিভিন্ন করণীয় দিক তুলে ধরে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন-সহযোগী বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ সরকারকে দেওয়া বিভিন্ন পরামর্শে আরও বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে সরকারি উদ্যোগ বা পরিবহন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ও মান বাড়াতে হবে। বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে যা যা করণীয় আছে, তা নির্ধারণ করে এগোতে হবে। কারণ বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা থাকার পরও আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে সম্ভাবনা আছে। তবে মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। সুদের হার কমাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। আর প্রবৃদ্ধি আসবে রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বিনিয়োগ থেকে। রপ্তানিতে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনাগুলোতে আস্থার ধাক্কা লেগেছে। তাই সরকারকে ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হতে হবে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতেও অনিশ্চয়তা বেড়েছে। এর প্রভাব রপ্তানিতে পড়তে পারে। কারণ দেশীয় সন্ত্রাসী ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব রপ্তানিতে পড়বে। তবে প্রভাব কতটুকু পড়বে তা দেখতে কিছুটা সময় লাগবে। ক্রিসমাসের রপ্তানি আদেশ আরও দু-তিন মাস পর সমাপ্ত হলে এর প্রভাব বোঝা যাবে। তবে স্বাভাবিক রপ্তানি এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলায় নিরাপত্তায় প্রভাব পড়েছে। পরিবহন, হোটেলের মতো সেবা খাতের ওপর প্রভাব পড়েছে। দেশে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা রেমিট্যান্সে প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার প্রধানতম কারণ হলো, বাংলাদেশে এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স আসা কমে গেছে। সৌদি অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেখানকার শ্রমবাজারে প্রভাব পড়েছে।

সর্বশেষ খবর