শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

৭ খুনের চার্জশিট দেওয়া তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডলের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার নূর হোসেন, তারেক মোহাম্মদ সাঈদসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে গতকাল শুনানি শেষে আদালত আগামী ২৯ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। এ নিয়ে সাত খুনের দুটি মামলায় অভিন্ন ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১০৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাত খুনের ঘটনায় তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামুনুর রশিদ মণ্ডল, যিনি এখন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক ও চার্জশিট দাখিলের সময়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ছিলেন। গতকাল তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এদিন তার পুরো সাক্ষ্য প্রদান শেষ হয়নি। তাই আদালত মুলতবি ঘোষণা করে ২৯ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। আদালত সূত্রমতে, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটির বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়েজামাই বিজয় কুমার পাল ও অন্য বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। প্রথমে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হয়। তখন মামলাটি তদন্ত করেন থানার এসআই ফজলুল হক। ইতিমধ্যে তিনি মারা গেছেন। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হলে ২০১৪ সালের ৩ থেকে ৭ মে পর্যন্ত তদন্ত করেন ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা এস এস আউয়াল। তিনি বদলি হলে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডলকে। ২০১৪ সালের ৮ মে তদন্ত শুরু করেন তিনি। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক।

সর্বশেষ খবর