নগরীতে এশিয়ান অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবদুর রহিম, ওসি জসিম উদ্দিনসহ ১২ পুলিশ সদস্য এবং অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ শতাধিক পুরুষ ও নারী শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত?্যক্ষদর্শীরা জানান, এশিয়ান অ্যাপারেলসের নারী কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব?্যবহারের অভিযোগে ওই কারখানার শ্রমিকরা গতকাল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করলে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, ‘পোশাকশ্রমিকরা নগরীর স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। শুরুতে তাদের বুঝিয়ে এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিই। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন।’ এরপর পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানান ওসি। সংঘর্ষে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) আবদুর রহিম, ওসি জসিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আহম্মদসহ অন্তত ১২ জন জন পুলিশ সদস্য আহত হন। আর পুলিশের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে আহত হন অন্তত ৩০ জন শ্রমিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে এশিয়ান অ্যাপারেলসের উত্তর কাট্টলীর কারখানায় কাটিং সেকশনের নারী শ্রমিকরা কাজ করছেন না অভিযোগ তুলে তাদের গালিগালাজ করেন একজন সুপারভাইজার। প্রতিবাদে ওইদিন বিকালে নগরীর স্টেশন রোডে প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। গতকাল দুপুরে মালিকপক্ষ তাদের অভিযোগ শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে— এই আশ্বাসে মঙ্গলবার শ্রমিকরা শান্ত হন। আলোচনার জন্য গতকাল মালিকপক্ষের বসার কথা থাকলেও তারা আসেননি। এ কারণে শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ ‘বিনা কারণে’ মারধর শুরু করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওসি জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, ‘সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে শ্রমিকরা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দিতে যাই। এ সময় তারা আমাদের ওপর হামলা চালান। পুলিশ মাইকিং করে শ্রমিকদের কারখানার ভিতর থেকে বের হতেও নিষেধ করে।’
