বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাবুলের পদত্যাগপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে। নিয়মানুযায়ী এখন আবেদনটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটাই কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।

গতকাল বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আগে বাবুল আক্তার অব্যাহতি চেয়েছিলেন, এখন তিনি যোগদান করতে চাচ্ছেন। আমরা সব আবেদনই নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। সিদ্ধান্ত আসলে ব্যবস্থা নেব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ৩ আগস্ট বাবুল আক্তার তার কর্মস্থল পুলিশ সদর দফতরে গিয়ে লিখিতভাবে কাজে যোগ দিতে চান। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাকে জানিয়ে দেন, তাকে আর কাজে যোগদান করতে দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন ৪ আগস্ট বাবুল পুলিশ সদর দফতরে ডিআইজি (প্রশাসন) বরাবর লিখিতভাবে যোগদানপত্র জমা দেন। এতে তিনি বলেন, স্ত্রী খুন হওয়ার পর দুই সন্তানের দেখাশোনার জন্য কর্মকর্তাদের পরামর্শমতো তিনি শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে দুই সন্তানকে নিয়মিত চিকিৎসকের কাছেও নেওয়া হচ্ছে। অনুপস্থিতির সময়টা ছুটি হিসেবে নিয়ে তাকে কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিতে অনুরোধ করেন বাবুল। স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে দেওয়া এক আবেদনে বাবুল আক্তার বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি, বাধ্য হয়েছেন।

 কিন্তু পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেছেন, বাধ্য করা হয়নি, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। স্ত্রী খুনের পর একজন পুলিশ সুপারকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, বাধ্য করার প্রশ্নই ওঠে না, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। অনেক দিন অপেক্ষা করে সেই পদত্যাগপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তার শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনও দাবি করেছিলেন, বাবুল স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তিনি অভিযোগ করেন, বাবুল চাইলেও তাকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দফতরে বদলি হয়ে আসার দুই দিন পর গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গত ২৪ জুন গভীর রাতে খিলগাঁওয়ের ভূঁইয়াপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আবার তাকে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। ওই জিজ্ঞাসাবাদের সময় পদত্যাগপত্রে সই করেন বাবুল।

সর্বশেষ খবর