শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

চলে গেলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী মুহিতুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলে গেলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী মুহিতুল

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার বাদী এ এফ এম মুহিতুল ইসলাম (৬৩) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকার সময় তার রিসিপশনিস্ট কাম রেসিডেন্ট পিএ ছিলেন মুহিতুল। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। এ ছাড়া নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ১০ আগস্ট থেকে বিএসএমএমইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন মুহিতুল। মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র কন্যা সানজিদা বিলকিস (বাঁধন) ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ও মিরপুর-১৪ নম্বরে দ্বিতীয় দফা নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কাশিমপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় যশোরের ঝিকরগাছায় তৃতীয় ও জোহর নামাজের পর মনিরামপুরে চতুর্থ দফা নামাজে জানাজা শেষে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে। গতকাল রাতেই মরহুমের মরদেহ নিয়ে যশোর যান আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজে জানাজায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুস সোবহান গোলাপ, বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ। শোক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে মুহিতুলের সাহসী ভূমিকা বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে চিরকাল স্মরণ করবে। তিনি বলেন, তার সাহসী পদক্ষেপের কারণেই দীর্ঘ সময় পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়, বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি একটি অভিশাপ থেকে মুক্তি পায়। পৃথক শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ এফ এম মুহিতুল ইসলামের সাহসী ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিতেই ছিলেন। ঘাতকদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য শিশু শেখ রাসেলকেও তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন। তার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ঘাতকরা নির্মমভাবে শেখ রাসেলকে হত্যা করে। তার মৃত্যুতে আমরা আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ একজনকে হারালাম। মুহিতুল ইসলামের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার আডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, গণপূর্ত ও গৃহায়ণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিসহ মন্ত্রিবর্গ, আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়াও যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন শোক প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ খবর