শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিকল্প চলচ্চিত্রের তিন দশক

প্রতিদিন ডেস্ক

বিকল্প চলচ্চিত্রের তিন দশক

৩০ বছরে পদার্পণ করছে দেশের বিকল্পধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরাম। এ উপলক্ষে বছরব্যাপী নানান অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন প্রাঙ্গণে গতকাল বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এখানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলাম, মানজারে হাসীন মুরাদ, এন রাশেদ চৌধুরী, জাহিদুর রহিম অঞ্জন প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শ্বেত পায়রা উড়িয়ে। এরপর দ্বৈতকণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ‘আলো আমার আলো’ ও নজরুলসংগীত ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য’ পরিবেশন করেন ঊর্মি ও আনন্দ। জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনের  তৃতীয় তলায় দুপুর ১২টায় শুরু হয় স্মৃতিচারণের প্রথম পর্ব। আড়াইটায় হয় দ্বিতীয় ভাগ। বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্রের তিন দশক : সাফল্য ও ব্যর্থতা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা।

নজরুলসংগীত বিকৃত হলেই আইনি ব্যবস্থা : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মহাপ্রয়াণের পর তারই শিষ্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে নজরুলসংগীত ‘বিকৃত’ করছেন এমন অভিযোগ এনেছেন নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। গতকাল বিকালে ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কবির ৪০তম প্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কোনোভাবে নজরুলসংগীত বিকৃত হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব, প্রয়োজনে আদালতে যাব।’নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিক জানান, নজরুলসংগীতের বিকৃতি রোধে নজরুল ইনস্টিটিউট আদি গ্রামোফোন রেকর্ড থেকে দেড় হাজার গান উদ্ধার করে সেগুলোর স্বরলিপি প্রকাশ করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এ কাজটি না করতে পারি, তবে এই নজরুল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’ অনুষ্ঠানে ৫০০টি নজরুলসংগীত নিয়ে ১০টি গানের সিডি প্রকাশ করা হয়। এ গানগুলো গ্রামোফোন রেকর্ড ও আদি স্বরলিপি অনুযায়ী রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ। ইকরাম আহমেদ বলেন, ‘নজরুলসংগীতের বিকৃতি রোধে আমরা এই সিডি প্রকাশ করলাম।’

‘যাম-যোজনায় কড়ি মাধ্যম’ : ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নজরুলের রাগমিশ্রিত গান আর গীতি আলেখ্য ‘যাম-যোজনায় কড়ি মাধ্যম’ মুগ্ধ করেছে দর্শক-শ্রোতাদের। গতকালের এ আয়োজনে রাগের তাল-লয়ে এক শৈল্পিক সৌন্দর্যের লহরী তৈরি করেন শিল্পীরা। জাতীয় কবির ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছায়ানট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ললিত, ঢৌড়ি, গৌড় সারং, মুলতান, পূরবী, ছায়ানট, বেহাগ ও পরজ রাগের আশ্রয়ে গীতি আলেখ্যটি গোটা আয়োজনকে করে তোলে প্রাণবন্ত। এতে একক সংগীত পরিবেশন করেন মোহিত খান, তানভীর আহমেদ, শ্রাবন্তী ধর, শুক্লা পাল সেতু, নবনীতা চক্রবর্তী প্রমুখ।

বাংলা একাডেমিতে চীনা লেখক : চীনের কেন্দ্রীয় লেখক সমিতির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখকরা। গতকাল সকালে বাংলা একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সফররত চীনা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন চীনা লেখক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি হে জিয়ানমিং। অন্য সদস্যরা হলেন হু উই, ছেন ইয়াজুন, লি হাউ ও লিন জুইমিই। বাংলাদেশের লেখকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক,  সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, ড. নিয়াজ জামান, ড. মুনতাসীর মামুন, ড. ফকরুল আলম, লেখক ও প্রকাশক মফিদুল হক, কবি আসাদ চৌধুরী, রুবী রহমান, মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাহিদুল হক, মুহাম্মদ সামাদ, কবি কামাল চৌধুরী, ড. ফিরোজ মাহমুদ, বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, একাডেমির পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর