শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঢাকায় ১২ কেজি সোনা জব্দ, স্বামী স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার তাঁতীবাজার ও আমিনবাজার থেকে ছয় কোটি টাকা মূল্যের ১২ কেজি সোনা জব্দসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলো— তাপস মালাকার ও তার স্ত্রী মন্টি মালাকার, দুলাল চন্দ্র দাস ও দ্বীনবন্ধু সরকার। সোনা ছাড়াও তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। র‌্যাব বলছে, গ্রেফতারকৃত সবাই আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সদস্য।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপ-পরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে আমিনবাজার থেকে তাপস, মন্টি ও দুলালকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস এবং প্রায় ৮ কেজি ওজনের ২৪ পিস সোনার  বার জব্দ করা হয়। তাপসের দেওয়া তথ্যে তাঁতীবাজার থেকে অন্তর সিলভার স্টোরের কর্ণধার দ্বীনবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দ্বীনবন্ধুর তাঁতীবাজারের ২১ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি ওজনের ৩২ পিস সোনার বার জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার করা সোনার বার সংক্রান্তে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আসামি দ্বীনবন্ধু দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালান করে আসছিল। আর তাপস মালাকার প্রায় ৪-৫ বছর ধরে স্ত্রীকে নিয়ে সোনা চোরাচালান করছে। গ্রেফতার তাপসের বরাত দিয়ে র‌্যাব বলছে, গত ২৩ আগস্ট সে গ্রেফতার দ্বীনবন্ধু, পলাতক হৃদয় দাস, নীলকৃষ্ণ ঘোষ, সুমন দে’র কাছ থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের সামনে থেকে সোনার বারগুলো নেয়। পরে বৃহস্পতিবার ওই বারগুলো নিয়ে সে মাইক্রোবাসে করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেনাপোল যাচ্ছিল। তবে তার পরিবারের সদস্যদের অনেকেই জানত না যে এই গাড়িতে সোনা চোরাচালান হচ্ছে। র‌্যাব আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এ চক্রটি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিমান পথে সোনার বার ও অলঙ্কার আকারে দেশে নিয়ে আসছিল। অলঙ্কারগুলো গলিয়ে বার তৈরি করে পরে বিভিন্ন মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করার উদ্দেশে নিয়ে যেত। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সোনার চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। জব্দকৃত গাড়িটি তাপসের। সে এক সময় বায়তুল মোকাররম মার্কেটে একটি সোনার দোকানে চাকরি করত। ২০১১ সালের দিকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে হঠাৎ শ্ব্বশুরের দেওয়া টাকা এবং গ্রামের জমি বিক্রি করে প্রায় ৬০ লাখ টাকা সে এ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে একটি মুদির দোকান খোলে। আগে থেকেই সোনা চোরাচালানে অভিজ্ঞ তাপস ধীরে ধীরে তার স্ত্রীকেও এ কাজে যুক্ত করে মুদির ব্যবসার আড়ালে সোনা চোরাচালান করে যাচ্ছিল। প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার বেনাপোল গিয়ে এই সোনা চালান হস্তান্তর করে এলেও সে দীর্ঘদিন ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সর্বশেষ খবর