সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেন খালেদা জিয়া : এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, নব্বইতে ক্ষমতা ছাড়ার পূর্বে আমাকে কথা দেওয়া হলো সবাইকে নির্বাচন করার সমান সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। জেলে নেওয়া হলো আমাকে এবং আমার দলের নেতাদের। প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হলো আমার সঙ্গে। আর খালেদা জিয়াই এদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছেন। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। সভায় কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা নেতারাও বক্তব্য রাখেন। এইচ এম এরশাদ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে নিঃশেষ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার শিশু সন্তানকেও দুই বছর কারাবাস করতে হয়েছে। যার কারণে সে লেখাপড়া করতে পারেনি। বিএনপি আমাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল।  তারপরও আমি ভেঙে পড়িনি। কারণ আমি জানতাম জাতীয় পার্টি একদিন জেগে উঠবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। দুর্বলের সঙ্গে কেউ হাত মেলায় না। আমরা এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আর যদি কেউ আমাদের হাতে ঐক্যের হাত মেলায় তখন আমরা ভেবে দেখব। তবে নিজ থেকে কারও সঙ্গে ঐক্যে যাব না। অনেকে বলে আমার অনেক বয়স হয়েছে। তোমরা আমাকে ক্ষমতায় নিয়ে যাও আমি আরও ২০০ বছর বাঁচব ইনশাল্লাহ। তোমরা ৩০০ আসনের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নাও। আমরা দেখাতে চাই জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। বিরোধী দলের নেতা ও জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ দল থেকে চলে যাওয়া নেতাদের ফিরে আসার আহ্বান জানান। মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর, বিএনপি ১১ বছর পর ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি আজ ২৬ বছর যাবৎ ক্ষমতার বাইরে থেকে সংগ্রাম করে আসছে। আমাদের এসব নেতা-কর্মী পরীক্ষিত। আর যারা অন্য দলে চলে গেছে তারা কেউ ভালো নেই। আমাদের দলের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেও একটি দলের ভাইস-চেয়ারম্যান। তাও দয়া করে তাকে দিয়েছেন। আমাদের এখানে সম্মানে ছিলেন এখন অন্য দলে গিয়ে অনেকে সদস্যও হতে পারেননি। আমি জাপা মহাসচিব হিসেবে বিভিন্ন জেলায় যে বিরল সম্মান পাই তা শুধু এরশাদের জাতীয় পার্টির মহাসচিব হওয়ার কল্যাণে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা জাপার সভাপতি ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, চট্টগ্রাম মহানগর সভানেত্রী মেহজাবীন মোর্শেদ এমপি, কুমিল্লা দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন ভূইয়া, মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদিকা অনন্যা হোসাইন মৌসুমী, ছাত্রসমাজ সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসান, শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আশরাফুজ্জামান খান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু, কাজী ফিরোজ রশীদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, সুনীল শুভ রায়, ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন মিলন, নাসরিন জাহান রত্না, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, কাজী মামুনুর রশিদ, ইসহাক ভূইয়া প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর