সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা তদন্তে অগ্রগতি নেই

ফরহাদ উদ্দীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্মরণিকায় ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের এক মাস আট দিন অতিক্রান্ত হলেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। কমিটির সদস্যরা নানা কারণে এখন পর্যন্ত বৈঠকেই বসতে পারেননি। তবে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিটির একাধিক সদস্য। এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

গত ১ জুলাই ঢাবির ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত ‘স্মৃতি অম্লান’ শীর্ষক স্মরণিকার একটি নিবন্ধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্মরণিকাটি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে এবং স্মরণিকার সম্পাদক ও ওই নিবন্ধের লেখক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। এ ঘটনায় সেদিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ এবং উপাচার্যের গাড়ি ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এরপর ২১ জুলাই সার্বিক ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন, সিনেট সদস্য বাহালুল মজনুন চুন্নু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন।

তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির প্রধান অধ্যাপক কামাল উদ্দীন বলেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে মিটিংয়ে বসে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

এদিকে অব্যাহতি পাওয়ার পর সৈয়দ রেজাউর রহমান তার আগের টিএসসির ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দফতরে যোগ দিয়েছেন। তবে তিনি এখন ছুটিতে আছেন। দফতরের পরিচালক অধ্যাপক শাহিন ইসলাম বলেন,  সৈয়দ রেজাউর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেখান থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর তিনি আগের দফতরে ফিরে আসেন। এখন তিনি ছুটিতে আছেন।

ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ জামান বলেন, ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে রেজিস্ট্রার ছাড়াও আর কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের তথ্যানুসন্ধানে সময় নিচ্ছে। তদন্ত কাজ শেষ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর