ফেনী-২ আসনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী হাজতে থাকার সময় কত ব্যাগ রক্ত দিয়েছেন, এর ফলে তিনি কত দিন কারাবাসের রেয়াত পাওয়ার যোগ্য, সে বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রায় ঘোষণা মুলতবি করে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আগামী ৩ নভেম্বর এ বিষয়ে আবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। নিজাম হাজারীর আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, নিজাম হাজারী কারাগারে থাকার সময় মোট ১৩ বার রক্ত দিয়েছিলেন। এর ফলে তিনি ৪৮৬ দিনের কারাবাস থেকে রেয়াত পাওয়ার অধিকারী হয়েছেন। এটা ধরা হলে তার সাজার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় তিনি কারাগারে ছিলেন। এর আগে ৩০ আগস্ট এ বিষয়ে রায় দেওয়া শুরু হয়। রায় দেওয়া অসমাপ্ত অবস্থায় আদালতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় রায় দেওয়ার কার্যক্রম গতকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। গতকাল আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, কারাগারে সাজা খাটার সময় নিজাম হাজারী ১৩ বার রক্ত দান করেছিলেন। বিনিময়ে কারা কর্তৃপক্ষ তার ৪৮৬ দিন সাজা মওকুফ করেছিল। এর আগে ১৭ আগস্ট এ বিষয়ে রায় দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। ওই দিন বিচারিক আদালতের নথি না আসায় রায়ের দিন ২৩ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়। ২৩ আগস্ট নথিটি দাখিলের পর সেটি নিয়ে শুনানি শেষে ৩০ আগস্ট রায়ের দিন পুনর্নিধারণ করে আদালত। ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়।