শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পুলিশের তদন্তে গতি নেই ধরা পড়েনি কেউ

মাহবুব মমতাজী

পুলিশের তদন্তে গতি নেই ধরা পড়েনি কেউ

আমেরিকান দূতাবাসের কর্মী জুলহাজ মান্নান হত্যার পর পাঁচ মাস পেরুলেও এ পর্যন্ত কোনো ঘাতক, সহযোগী বা পুলিশের শনাক্ত হওয়া আসামি ধরা পড়েনি। এ ব্যাপারে পুলিশি তদন্তও গতি হারিয়ে ফেলেছে। জুলহাজ পরিবারের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্ত নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগ্রহীও নয়। জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান জানান, মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। ঘটনার দীর্ঘ সময় পার হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের সঙ্গে পর্যন্ত যোগাযোগ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তেমন আগ্রহ না থাকায় পরিবারের লোকজনও আগ্রহ দেখিয়ে পুলিশকে কিছু বলতে যায়নি। একই কারণে তদন্তেরও কোনো তথ্য জানতে চাওয়া হয়নি। ফলে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কিত আশানুরূপ তেমন কোনো তথ্যই পরিবারের কাছে নেই। উল্লেখ্য, লেখক, শিক্ষক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ধর্মের ব্যাপারে ভিন্ন মতের অনুসারী ও বিদেশির পর গত ২৫ এপ্রিল কলাবাগানের বাসায় ঢুকে জুলহাজ এবং তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। কলাবাগানের তেঁতুলতলা গলির আছিয়া নিবাস নামের ৩৫ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুলহাজ মান্নান ছিলেন ইউএসএইডের কর্মকর্তা ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল অফিসার। আর তার বন্ধু মাহবুব তনয় ছিলেন নাট্যকর্মী। ঘটনার দিনই কলাবাগান থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এখনো মামলাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে শিহাব নামে একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আরও একজনকে শনাক্ত করা গেছে। এখনো পর্যন্ত শনাক্তদের গ্রেফতার করা যায়নি। মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের অস্ত্র সরবরাহকারী শিহাব নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর যারা যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্ত করা গেছে। তাদের গ্রেফতার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, জুলহাজ হত্যায় যে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল তার মধ্যে শাটারগানটি গ্রেফতার হওয়া শিহাবের। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্য ছিলেন। তবে ২০১৫ সালে তিনি যোগ দেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে।

সর্বশেষ খবর