মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কী হবে ১৩ জঙ্গির লাশের

ডিএনএ প্রতিবেদনের পর সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৯ জঙ্গির মধ্যে ১৩ জনের লাশের ডিএনএ প্রতিবেদন এখনো পুলিশের হাতে আসেনি। লাশের ডিএনএসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা পরিবারকে দেওয়া হবে নাকি আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। লাশ হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত মর্গেই রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ—ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান। মর্গে লাশ রাখার জায়গার অসুবিধার কথা জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ—ঢামেক কর্তৃপক্ষের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গতকাল দুপুরে এ কথা বলেন। ঢামেক মর্গে ১৩ জঙ্গির লাশ রয়েছে। মাসুদুর রহমান বলেন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৯ জঙ্গির মধ্যে গুলশানের ৬ জনের ব্যাপারে সিআইডির দেওয়া ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তবে এফবিআইর ডিএনএন প্রতিবেদন ও অন্যান্য পরীক্ষার প্রতিবেদন এসে পৌঁছায়নি। রাজধানীর কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গি, নারায়ণগঞ্জের ৩ ও রূপনগরের ১ জনের ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে কারও লাশ নেওয়ার জন্য স্বজনরা আবেদনও করেননি। যদি কেউ তাদের লাশ নিতে চাইতেন তাহলে স্বজনদের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হতো। তারপর লাশ দেওয়া হতো। কিংবা সব পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেলে স্বজনরা লাশ না নিলে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারত পুলিশ। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল না আসায় লাশের কোনো ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। এখন প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে করেন আর কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই, তাহলে তিনি লাশের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। পুলিশ জানিয়েছে, গুলশানে নিহত জঙ্গিরা মাদক নিয়েছিল কিনা তা পরীক্ষার জন্য এফবিআইর কাছে নমুনা দেওয়া হয়েছে। তারও ফলাফল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে সিএমএইচে ৬ ও ঢামেক মর্গে ১৩ জঙ্গির লাশ রয়েছে। ২৯ আগস্ট মর্গে লাশ রাখার অসুবিধার কথা জানিয়ে ঢামেক কর্তৃপক্ষ জঙ্গিদের লাশ নেওয়ার জন্য পুলিশকে চিঠি দিয়েছে। সিএমএইচ মর্গে রাখা গুলশানের অভিযানে নিহত ৬ জনের লাশের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। ঢামেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢামেক মর্গে ১৩ জঙ্গির লাশ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জঙ্গির লাশ পড়ে আছে ৪০ দিন ধরে। প্রতিদিনই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আসছে কমপক্ষে ৫-৭টি মৃতদেহ। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর