শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রী কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ১২ দিনের সরকারি সফরে আগামী বুধবার ঢাকা ত্যাগ   করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাসসকে জানান, ‘ফিফথ রিপ্লেনিসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)’-এ যোগদানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ  হাসিনা প্রথম চারদিন কানাডা সফর করবেন। এরপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।

এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর কানাডার কুইবেকে ‘জিএফ’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। খবর বাসস। এর আগে, জিএফ-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সম্মেলনে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের তিনটি সবচেয়ে ক্ষতিকারক ও দুরারোগ্য ব্যাধি—এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার বিস্তার ঠেকাতে বিশ্ব নেতারা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা লন্ডনের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। একই দিন লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ০৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি হিথ্রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছাবে। ব্রিটেনের রাজধানীতে সারা রাত যাত্রা বিরতির পর ১৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ০৫ মিনিটে ফ্লাইটটি লন্ডন থেকে কানাডার মন্ট্রিলের উদ্দেশে যাত্রা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে মন্ট্রিলের পিয়েরে এলিয়ট টরুডো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করবে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নীরা কাদরীর সাক্ষাৎ : সদ্যপ্রয়াত কবি শহীদ কাদরীর স্ত্রী নীরা কাদরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। গত সন্ধ্যায় গণভবনে এ সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, প্রয়াত কবির স্ত্রী নীরা কাদরী বলেছেন, শহীদ কাদরীর অন্তিম ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে ফিরে আসার। মৃত্যুর পর কবিকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। শাকিল বলেন, নীরা কাদরী আরও বলেছেন, শহীদ কাদরী দেশকে এতটাই ভালোবাসতেন যে, তিনি কখনই বাংলাদেশের পাসপোর্ট পরিত্যাগ করে মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণে রাজি ছিলেন না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী হিসেবে আমাদের কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী ও ক্রীড়াবিদদের প্রতি সম্মান জানানো আমার দায়িত্ব। আমি সে দায়িত্ব পালন করেছি।

 এ সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর