শিরোনাম
রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কোরবানির দা বঁটির দরদাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানি এলে পশুর মতোই কেনাবেচা বাড়ে দা-বঁটির। আর এক দিন বাদেই ঈদ। কামারপট্টিতে দম ফেলার ফুরসত নেই, বিক্রেতারা খোশমেজাজে আছেন। মাংস কাটাকাটির ছুরি-চাকু নিয়ে প্রস্তুত তারা। পশু জবাই ও তার মাংস প্রস্তুত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এসব সামগ্রী। বিক্রেতারা জবাই পশুর পরবর্তী কাজ সম্পন্নের অস্ত্র সাজিয়ে বসেছেন নিজ নিজ দোকানে। অনেকে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের তাগিদে প্রতিটি দা-বঁটি নারকেল তেল দিয়ে ধুয়েমুছে সামনে রাখছেন। মাংস কাটাকাটির জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র তেল দিয়ে মুছে রাখলে তার শান নষ্ট হয় না। একই সঙ্গে মরিচা না ধরে বরং সেগুলোর উজ্জ্বলতা বাড়ে বলে জানান বিক্রেতারা।

রাজধানীর কাপ্তান বাজারে কামারপট্টি থেকে আনা চাপাতি, বঁটি, চাকু, কুড়াল ও কাঠ বিক্রির দোকানগুলো বেশ সরগরম। অন্য দিনের তুলনায় দাম রাখা হচ্ছে একটু বেশি। বিভিন্ন সাইজের দাম ভিন্ন ভিন্ন। তবে বিক্রিবাট্টা এখনো তেমন শুরু না হলেও যন্ত্রপাতি তৈরিতে অবিরাম কাজ চলছে কামারপাড়াগুলোয়। বছরের এ সময়টিতে জমজমাট ব্যবসা চলে তাদের। এজন্য দিনরাত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির কাজ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, চাকু ধার দেওয়ার ছোট স্টিলের দাম ৪০ টাকা। আর বড় স্টিলের দাম ৬০ টাকা। ছোট ছুরির দাম ৫০ টাকা। মাঝারি ছুরির দাম ৮০ টাকা আর বড় ছুরির দাম ১০০ টাকা। দা আছে চার ধরনের। সেগুলোর মূল্য ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। বঁটি রাখা আছে তিন সাইজের; যার দাম ২০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। স্পেশাল দুই সাইজের বঁটি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের রয়েছে। কোপ চাকুর দাম ১৫০ থেকে ২০০। চাইনিজ কুড়াল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। চার চাকুর দাম ২২০ টাকা। আর জবাই চাকুর দাম ৫২০ টাকা। কোপা দা ৩৫০ টাকা। চাপাতির দাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। চাইনিজ চাপাতির দাম রাখা হয়েছে ১১৫০ থেকে ১৩০০ টাকা। মাংস কাটাকাটিতে ব্যবহৃত তেঁতুল কাঠেরও দাম চড়া। কাঠের ধরন অনুযায়ী এসবের দাম ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। কাপ্তান বাজারের শেখ ট্রেডার্স, আবুল হার্ডওয়্যার ও সবুজ স্টোরসহ প্রায় ২০টি দোকানে ২৫-৩০ ধরনের মাংস কাটার অস্ত্র রয়েছে। ধরনও আকর্ষণীয় ও ধারালো। আবার কেউ কেউ তাদের কাছ থেকে পুরনো অস্ত্রগুলো শান দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শফিক নামের এক দোকানদার বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ধরনের কাটাকাটির চাকু রাখছি। এগুলোর দাম সাইজ অনুযায়ী। রেডি করে সব বিক্রি করা হচ্ছে। যার যেটা প্রয়োজন ও পছন্দ সেটা নিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো অনেক ধারালো। যাতে সেগুলোর শান নষ্ট না হয় সেজন্য দোকান খোলার পর চাকুগুলো তেল দিয়ে মুছে রাখি। ফলে সেগুলো চকচক করে। ক্রেতার চোখেও ভালোভাবে লাগে।’ বিক্রেতা সবুজ বলেন, কোরবানির ঈদের এই সময় ছুরি-চাকু খুব ভালো বেচাকেনা হয়। ঈদ এলে সেগুলো বানানোর ব্যস্ততাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বেচাকেনা এখনো তেমন শুরু হয়নি। তবে ঈদের আগের দিন বা রাতে সব বিক্রি হয়ে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর