রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

পাহাড়ে বিলাতি ধনিয়ার চাষ

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে বিলাতি ধনিয়ার চাষ

পাহাড়ের পাদদেশে বিলাতি ধনিয়া পাতার ব্যাপক চাষ হয়েছে। এ ধনিয়া পাতার গন্ধ কড়া। পাতা চ্যাপ্টা হওয়ায় ফলন বেশি। পাতার দুপাশে খাজকাটা। সবুজ ও ভারি এ পাতা লম্বায় ১৫ থেকে  ২০ সেন্টিমিটার এবং চ্যাপ্টায় দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার। একবার বীজ বুনলে কয়েক বছর পর্যন্ত গাছ বেঁচে থাকে। ফলে বার বার পাতা সংগ্রহ করা যায়। সাধারণত বিলাতি ধনিয়ার সম্পূর্ণ গাছ তুলে সংগ্রহ করা হয়। মরা বা পুরনো পাতা পরিষ্কার করে আঁটি বেঁধে বাজারজাত করা হয়।

জানা গেছে, রাঙামাটি জেলায় প্রত্যন্ত দুর্গম উপজেলা সাপছড়ি, কাপ্তাই, ওয়াগ্গা, তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া ও শীলছড়ি মারমা পাড়াসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় বিলাতি ধনিয়ার ব্যাপক চাষ হয়েছে। এ বিলাতি ধনিয়া চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে অনেক কৃষক পরিবার। ফলনও হয়েছে বাম্পার। অসচ্ছলতা অর্জন করেছেন অনেক পরিবার। স্থানীয় বাজারে এখন পাহাড়ে উৎপাদিত বিলাতি ধনিয়ার চাহিদা বেড়েছে। অধিক ফলনের কারণে ক্রেতাদের জন্য বিলাতি ধনিয়ার দাম যেমন সহনশীল, তেমনি চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছে। উচ্চ বাজারমূল্য ও অধিক আয়ের কারণে রাঙামাটিতে বাড়ছে এর চাষ। একটা সময় পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে শুধুমাত্র তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় বিলাতি ধনিয়ার চাষ করত। কিন্তু কালের পরির্বতনে আগ্রহ বেড়েছে অন্য সম্প্রদায়ের কৃষকের মধ্যেও।

 চাষিরা জানান, অল্প পুঁজি, বেশি লাভ। বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি চাষ করা যায় এ বিলাতি ধনিয়া পাতা। তাই কৃষকদের মধ্যে এটি চাষের চাহিদা বাড়ছে। এবার বিলাতি ধনিয়া পাতার ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ অনুযায়ী বাজার মূল্য অনেকটাই কম। তাছাড়া ছত্রাকের আক্রমণে অনেক ধনিয়া পাতা নষ্ট হয়ে গেছে।

রাঙামাটি জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শান্তিময় চাকমা জানান, অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে বিলাতি ধনিয়া পাতায় যে রোগ দেখা দিয়েছে তা ছত্রাকজনিত। এ সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে চাষিদের। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত থাকায় বিলাতি ধনিয়া চাষে সফলতা এসছে।

রাঙামাটি জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক রমণী কান্তি চাকমা জানান, বিলাতি ধনিয়া পাহাড়ি এ অঞ্চলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। পাহাড়ের কৃষাণ-কৃষাণীরা যাতে বিলাতি ধনিয়া চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে, সেজন্য রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর