সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশের তিন জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে গতকাল তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজন বনদস্যু বাহিনীর প্রধান, একজন ডাকাত এবং আরেকজন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান রয়েছেন। বন্দুকযুদ্ধগুলো খুলনার কয়রা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এবং আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী এলাকায় হয়েছে।

খুলনা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, খুলনার কয়রা উপজেলা সংলগ্ন সুন্দরবনের টিয়াখালী খাল এলাকায় গতকাল ভোরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু ‘রবিউল বাহিনীর প্রধান’ রবিউল ইসলাম গাজী (২৪) নিহত হয়েছেন। তাকে গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ৪ নম্বর কয়রা এলাকা থেকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছিল। কয়রা থানার ওসি শমসের আলী জানান, বনদস্যু বাহিনী প্রধান রবিউলকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সুন্দরবনের টিয়াখালী খাল এলাকায় গেলে তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় রবিউল পালানোর চেষ্টা করলে লাইন অব ফায়ারের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। বন্দুকযুদ্ধ স্থল থেকে একটি টু-টু বোর রাইফেল, ৮ রাউন্ড গুলি, ৪টি হরিণের চামড়া ও ২টি শিং উদ্ধার করা হয়েছে। রবিউলের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ ১০টিরও বেশি মামলা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কাজল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নবীনগর থানা পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কাজল মিয়া ডাকাত দলের সদস্য। গতকাল রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের আওয়ালভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ আরও জানায়, ১৫-১৬ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের আওয়াল ব্রিজ এলাকার মহেশ রোডে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাত দল গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও ৯ রাউন্ড পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে কাজল মিয়া মারা যান। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, নিহত কাজলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ ৮টি মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, ২টি কিরিচ ও ২টি রামদা উদ্ধার করেছে। নিহত কাজল নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের গাজী মিয়ার ছেলে।

আশুলিয়া প্রতিনিধি জানান, আশুলিয়ায় আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবক পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাত সোয়া ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবির ওসি এএফএম সায়েদ ও আশুলিয়া থানা পুলিশের টহল টিম যৌথ অভিযানে গেলে আনোয়ারের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের সংঘবদ্ধ দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চলায়। এতে আনোয়ার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যান। বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়। নিহত আনোয়ার নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার ভালুয়াকান্দি গ্রামের রাজু আহমেদের ছেলে। তিনি জামগড়া এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ঢাকা জেলার এএসপি নাজমুল হাসান ফিরোজ জানান, আনোয়ার পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, মির্জাপুর থানায় ১৬ ৪৯ লাখ টাকা, ধামরাই থানায় ৬৪ লাখ, আশুলিয়া থানায় ২ জন বিকাশ কর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই ও ২০ লাখ টাকা ডাকাতিসহ টঙ্গী ও জয়দেবপুর থানায় ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। তিনি এসব মামলার প্রধান আসামি। মহেশখালীতে ‘গোলাগুলি’, যুবক আটক : কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, মহেশখালীতে গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের সঙ্গে কথিত গোলাগুলিতে কবির আহমদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে ধরা পড়েছেন। পুলিশ বলছে, কবির একজন ডাকাত। তার কাছ থেকে একটি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর